পর্যটন দিবসে টাঙ্গুয়ার হাওরের স্থানীয়দের ভাবনা
আহম্মদ কবির
বিশ্ব পর্যটন দিবসে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরকে ঘিরে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আশা ও আশঙ্কা প্রকাশ পেয়েছে। তারা বলছেন,হাওরের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা না করলে পর্যটন ক্ষেত্রের সম্ভাবনাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
স্থানীয় জেলে বদরুল আলম জানান,টাঙ্গুয়ার হাওর আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পর্যটক আসলে খুশি হবো, কিন্তু অনিয়ন্ত্রিতভাবে পর্যটক প্রবেশ করলে হাওরের মাছ কমে যাবে,পানি দূষিত হবে। এতে আমাদের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন হবে।”
একই এলাকার গৃহবধূ রহিমা বেগম বলেন,পর্যটক বাড়লে আমাদের ঘরে ঘরে আয় বাড়বে। হোমস্টে ব্যবস্থা ও ইক্যু-ট্যুরিজম পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে হাওর পাড়ের প্রতিটি সুবিধাজনক গ্রামে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে যুবকরা গাইডের কাজ করতে পারবে,মেয়েরাও উপার্জন করতে পারবে।”
স্থানীয়রা মনে করেন,টাঙ্গুয়ার হাওরে পরিবেশবান্ধব পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। হোমস্টে গড়ে তোলা, প্রশিক্ষিত টুর গাইড রাখা ও পর্যটকদের জন্য তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করলে,স্থানীয়রা হাওর রক্ষার কাজে আরও উৎসাহী হবেন।তাদের মতে,সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ সমন্বিতভাবে কাজ করলে টাঙ্গুয়ার হাওর হতে পারে বিশ্বমানের টেকসই পর্যটন গন্তব্য। এটি হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখবে,স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে এবং পর্যটকদের জন্য সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।তারা বলেন পর্যটকরা হোমস্টে মাধ্যমে স্থানীয় খাবার, সংস্কৃতি ও জীবনের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। একই সঙ্গে হাওরের নৌ ভ্রমণ, মাছ ধরা, পাখি পর্যবেক্ষণ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। স্থানীয়রা মনে করছেন, এই উদ্যোগ টাঙ্গুয়ার হাওরের দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণ ও টেকসই পর্যটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আহম্মদ কবির
মোবাইল ০১৭২৫৭২৪৬০০
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন