সুবলপুর গ্রামের গর্ব, শিক্ষক মোঃ জামাত আলীর অকাল প্রয়াণ: শোকের মাতম সর্বত্র
মোঃ মিনারুল ইসলাম
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি
সুবলপুর গ্রামের কৃতি সন্তান এবং বাস্তপুর দাখিল মাদরাসার একজন স্বনামধন্য শিক্ষক মোঃ জামাত আলী (৫৫) গতকাল, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার অকাল প্রয়াণে কেবল তার পরিবার নয়, বরং পুরো সুবলপুর গ্রাম এবং বাস্তপুর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তিনি সুবলপুর গ্রামের হাজী মরহুম আয়নাল হকের সন্তানের মধ্যে মেজো ছেলে ছিলেন। মোঃ জামাত আলী গত ২৮ বছর ধরে বাস্তপুর দাখিল মাদরাসায় একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন।
তিনি শুধু শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানই দিতেন না, বরং তাদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন।
তার স্নেহভরা আচরণ, সহজবোধ্য শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা তাকে সবার কাছে একজন প্রিয় শিক্ষকে পরিণত করেছিল।
বাস্তপুর দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ,
শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, মোঃ জামাত আলী ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক, যার শূন্যস্থান সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
আজ শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সকাল ৯:৩০ মিনিটে সুবলপুর গ্রামের ঐতিহাসিক কবরস্থানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার’ মানুষ, যারা দূর-দূরান্ত থেকে এসেছিলেন তাদের প্রিয় শিক্ষক ও অভিভাবককে শেষ বিদায় জানাতে।
বাস্তপুর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতারা এবং পরিবারের সদস্যরা এই শোকযাত্রায় শামিল হন।
জানাজার আগে, মাদরাসার শিক্ষকবৃন্দ এবং এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিবর্গ মোঃ জামাত আলীর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মাওলানা সিরাজুল ইসলাম জানাজা পড়ান এবং মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করেন।এরপর তাকে সুবলপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
প্রিয় মোঃ জামাত আলী ছিলেন একাধারে একজন শিক্ষক, একজন সমাজসেবী এবং একজন দরদী মানুষ।
তার জীবন ছিল সাদাসিধে এবং অনুকরণীয়। এলাকাবাসী মনে করেন, তার মতো একজন গুণী ও পরোপকারী মানুষের চলে যাওয়া তাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
তার স্মৃতি এবং তার রেখে যাওয়া আদর্শ সকলের হৃদয়ে চিরকাল অম্লান থাকবে। তার পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়ে।
প্রিয় শিক্ষকের মৃত্যুতে পরিবারে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন