সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 



বেলকুচিতে আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় এগ্রো কেয়ার সেডের শুভ উদ্বোধন


আশিকুল ইসলাম, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :


সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বাস্তবায়িত “গ্রাম উন্নয়ন এগ্রো টেক” প্রকল্পের আওতায় জমিসহ বিভিন্ন এগ্রো কেয়ার সেডের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।


মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের দেলুয়াকান্দি গ্রামের গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা’র হলরুমে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। প্রকল্পটির সার্বিক তত্ত্বাবধান করছে বেলকুচি উপজেলা প্রশাসন।


উক্ত প্রকল্পের আওতায় আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের মাঝে জমি, ক্যাটেল সেড, ভার্মি কম্পোস্ট সেড, হারভেস্টার মেশিন সেড, ডেইরি কেয়ার সেড, অফিস সেডসহ মোট ৪৮টি গরু হস্তান্তর করা হয়। এর মাধ্যমে চরমপন্থা পরিত্যাগকারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ও সমাজে পুনঃস্থাপনের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক জনাব মুহাম্মাদ নজরুল ইসলাম।

সভাপতিত্ব করেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরিন জাহান।


বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— ডাঃ একে এম আনোয়ারুল হক, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, জনাব মাকসুদুল হাকিম, জেলা এনএসআই কর্মকর্তা, জনাব এ কে এম মনজুরে মওলা, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিরাজগঞ্জ, জনাব সুকান্ত ধর, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, বেলকুচি, মোঃ শহিদুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ, বেলকুচি থানা।


অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন— বেলকুচি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার ঘোষ।


প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুহাম্মাদ নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, “চরমপন্থীদের অন্যায় কাজ থেকে ফিরে এনে সঠিকভাবে জীবনযাপনের সুযোগ করে দিতে গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে বেলকুচির দেলুয়াকান্দি গ্রামে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৬৭ জন আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীর পুনর্বাসনের জন্য এই উদ্যোগ এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ভবিষ্যতে আরও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব দিলে তা বিবেচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে।”


এছাড়া বক্তারা আরও বলেন, “এই প্রকল্প আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের নতুন জীবনের পথে ফিরিয়ে আনার এক যুগান্তকারী উদ্যোগ। এখন তাদের দায়িত্ব হবে মনোযোগ ও নিষ্ঠার সঙ্গে খামার পরিচালনা করে স্বাবলম্বী হওয়া।”


অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ৬৭ জন আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থী সদস্য উপস্থিত ছিলেন।


বক্তারা জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “চরমপন্থা পরিত্যাগ করে জীবিকা ও মর্যাদার নতুন পথে এগিয়ে যাওয়ার এই প্রকল্প সারাদেশে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”

Post a Comment

أحدث أقدم