উলিপুরে হায়দার আলী নামের এক ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় শাক ক্ষেত থেকে উদ্ধার,
মোঃ মাইনুল ইসলাম
জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের উলিপুরে হায়দার আলী (৩৫) নামের এক ব্যক্তি দুর্গাপুর কাঁসাইপাড়া রাশেদুল হকের পুকুর পাড়ে একটি শাক খেতে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকে। ওই সময় একটি মহিলা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দেখতে পেলে ডাক চিৎকার শুরু করলে পড়ে থাকা ব্যক্তির পূর্ব পরিচিত মোঃ হারুনুর রশিদ সহ এই এলাকার কয়েকজন জড়ো হয়ে দেখেতে পান সে এখনো জীবিত আছে এবং কিছু বলছেন যে আমি আর বাঁচলাম না তার ছেলেমেয়েকে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতা হারুন, তার শালা সমন্দি দেরকে ফোন করে ডাকেন তারা এসে মঞ্জু, ও বাবু সহ তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তার অবনতি দেখার পর রংপুর নিয়ে যাওয়ার কথা বললে তাকে রংপুর নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথের মধ্যেই মৃত্যু বরণ করেন।
মৃত হায়দার আলী বিয়ের পর থেকেই তার শ্বশুর মোঃ আবুল কাশেমের বাড়িতে থাকেন বর্তমান সে দুই সন্তানের বাবা। সরজমিনে গিয়ে জানা যায় দীর্ঘদিন থেকে তার স্ত্রীর সঙ্গে তেমন কোনো ভালো সম্পর্ক নেই। ঘটনার ৪,দিন আগে তার স্ত্রী নাসরিন বেগমের বাড়িতে দুজনের মধ্যে তর্ক বিতর্ক সৃষ্টি হলে হায়দার আলী তার স্ত্রী নাসরিন বেগমকে সন্তান সহ সকলে ঢাকা যাওয়ার কথা বললে তার স্ত্রী অসম্মতি জানায় এবং বলে তুমি যাও আমি এখানে থাকবো। ওই সময় হায়দার আলী কিছু না বলে তার নিজ বাড়িতে চলে যায়। সেখানে গিয়ে তার স্ত্রীর কাছে কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা না হলে তিন দিন পর ১৯,শে ( অক্টোবর )তার শ্বশুর বাড়িতে চলে আসে এসে তার বউকে দেখতে না পেয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। এদিকে ঘটনা দুইদিন আগে থেকে তার স্ত্রী নাসরিন বেগম তার তাওয়াতি বোনের বাসায় থাকে কিন্তু তার পরিবারের কেউ জানে না। ওই সময় উপস্থিত সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন যে বাড়িতে ছিলেন তার নাম কি নাসরিন বেগম কোন উত্তর দিতে পারেনি। তবে এলাকার তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যেখানে পড়ে থাকে তার স্বামী তার পাশেই তার তাওয়াতি বোনের বাড়ি। লা*শ*টির শরীরে কয়েকটি মারপিটের দাগ, বীর্য সহ মল বাহির হয়েছে। তার স্ত্রীর পরিবারের দাবি সে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এদিকে ছেলের বাবার দাবি আমার ছেলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির বাবা মোঃ নুরল মুন্সী পুলিশের নিকট অনুরোধ করে বলেন স্যার আসল সত্য ঘটনা যাচাই করবেন কারণ আমার ছেলে বিষ খায়নি আর বিষ খাওয়া মরা এরকম নয়।
এ বিষয়ে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন