সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 



কোটালীপাড়ার ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ অপসারণ না হওয়ায় প্রতীমা বিসর্জন উৎসব নিয়ে শঙ্কা।

# বাঁধ অপসারনের আশ্বাস ইউএনওর,


কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি:- শেখ কামরুজ্জামান (রানা)।


শারদীয় দুর্গাপূজা নিয়ে সারাদেশের মত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়ও উ’সবের আমেজ বিরাজ করলেও কোটালীপাড়ার ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ থাকায় এই উৎসব নিয়ে শঙ্কিত হিরণ ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা।

জানাগেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ১৫ কোটি ৪৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ব্যয়ে পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ খাল খনন শুরু হয়,গত বছরের ১ আগস্ট থেকে। কাজের সমাপ্তি হবে ২০২৭ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর। আতাউর রহমান খান লিমিটেড নামে বগুড়ার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খালটি খননের লক্ষে ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ দেয় এক বছর আগে। বর্ষা মৌসুম থাকায় খাল খননের কাজ এখন বন্ধ থাকলেও বাঁধ অপসারণ না করায় খাল দিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রয়েছে। 

উপজেলার তারাশী কর্মকার বাড়ী সর্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি গোশাই কর্মকার দৈনিক সত্যের সন্ধানের প্রতিনিধি কে বলেন, এ বছর ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটবে ০২ আগস্ট, বিজয়াদশমীতে প্রতীমা বির্ষজনের মধ্য দিয়ে। আমরা প্রতিবছর বিজয়াদশমীর দিন দুপুরে প্রতিমা নৌকায় করে ঘাঘর নদীতে নিয়ে আসি। সারাদিন আনন্দ উৎসব শেষে সন্ধ্যায় ঘাঘর নদীতে প্রতীমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এ বছর আমরা পূজার এই উৎসব নিয়ে সঙ্কিত আছি পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ খালের ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ থাকার কারনে। বাঁধের ফলে নৌকায় প্রতীমা আনা-নেওয়া সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রতীমা বিসর্জনের কি হবে তা নিয়ে সকলে চিন্তিত। 

ঘাঘর বাজারের ব্যবসায়ী রনজিত কুমার সাহা বলেন, দুর্গা/ উৎসব পালনে ঘাঘর নদীর মোহনার বাঁধ অপসারণের জন্য এলাকার ১০০ জন ব্যক্তির স্বাক্ষরযুক্ত একটি আবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দেওয়া হলেও বাঁধ অপসারণে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা দু:চিন্তার মধ্যে রয়েছি।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম বিল্লাহ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। আশাকরছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধটি অপসারণ করা হবে যাতে দুর্গাপূজায় কোন সমস্যা না হয়।


# শেখ কামরুজ্জামান (রানা)

 ০১৭১৮০৬৬০১৮ 

২১/৯/২৫ ইং

Post a Comment

أحدث أقدم