সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 



দামুড়হুদা মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু।


মোঃ মিনারুল ইসলাম

চুুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি 



চুুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে একজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. বাবু (২০), তিনি দামুড়হুদা উপজেলার দশমী পাড়ার মো. শুকুর আলীর ছেলে।


সোমবার (১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) দুপুর আড়াইটার দিকে নিজ বাড়ির সামনে এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে বাবু বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নামেন। নদীর যে অংশে তিনি নেমেছিলেন, সেই অংশটি তুলনামূলকভাবে গভীর ছিল। 


ধারণা করা হচ্ছে, সাঁতার না জানায় অথবা স্রোতের টানে তিনি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পানিতে তলিয়ে যান। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধারের জন্য চিৎকার শুরু করেন। 


কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। উদ্ধার অভিযান ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া

স্থানীয় যুবক ও প্রতিবেশীরা দ্রুত একত্রিত হয়ে নদীতে নেমে বাবুর সন্ধান শুরু করেন। প্রায় আধা ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর তারা তাকে অচেতন অবস্থায় নদী থেকে তুলে আনেন। 


পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয়রা দ্রুত তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।


পরিবার ও এলাকায় শোক

বাবুর এমন অকাল মৃত্যুতে তার পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। একমাত্র ছেলে হারানোর শোকে তার বাবা-মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। 


পুরো দশমী পাড়াসহ আশপাশের এলাকায় এই ঘটনায় শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে।


দামুড়হুদা দশমী পাড়ার বাবু একজন প্রতিবন্ধী ছেলে ছিলেন বলে জানা গেছে।


পানিতে ডুবে মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনাগুলো আমাদের সবার জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা। বিশেষ করে বর্ষাকালে নদী, পুকুর বা জলাশয়ের আশেপাশে চলাচলের ক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। 


সাঁতার না জানা মানুষ, বিশেষ করে শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং শিশুদের প্রতি বাড়তি নজর রাখা জরুরি। অসতর্কতা এবং সচেতনতার অভাবের কারণে একটি পরিবারের স্বপ্ন এক নিমেষে ভেঙে যেতে পারে।


এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি b এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।

Post a Comment

أحدث أقدم