মধ্যনগরে বিএনপি সভাপতি পদ নিয়ে তোলপাড়, আলোচনায় মজনু
আহম্মদ কবির
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদ নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। আগামী দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মাঠে নেমেছেন।
এই প্রচারের কেন্দ্রে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও তৃণমূলের পরিচিত মুখ মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম মজনু। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তার পক্ষে ব্যাপক সমর্থন জানাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। পোস্টার, লিফলেট ও গণসংযোগের মাধ্যমে মজনুকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাওয়ার দাবি তুলেছেন তারা।
স্থানীয় বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলছেন, “দীর্ঘদিন ধরে মজনু বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে দলকে সংগঠিত করতে কাজ করেছেন।ত্যাগী নেতা হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।তারা বলেন আব্দুল কাইয়ুম মজনু মধ্যনগর থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল লতিফ তালুকদারের সুযোগ্য বড় ছেলে। তার বাড়ি মধ্যনগর সদর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে।তিনি রাজনীতির হাতেখড়ি নেন ছাত্রদল দিয়ে,মধ্যনগর থানা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। পরবর্তীতে মধ্যনগর থানা যুবদলের সভাপতি ও মধ্যনগর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১নং যুগ্ম আহবায়ক ও স্বাক্ষর ক্ষমতা সম্পন্ন নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও তিনি বিপুল ভোটে মধ্যনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তৃণমূলের আস্থা অর্জন করেন। আন্দোলন-সংগ্রামে একাধিকবার কারাবরণ করলেও দল ও নেতাকর্মীদের ছেড়ে যাননি।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম মজনু বলেন—
দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সফলভাবে চারটি ইউনিয়ন ও প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটি সম্পন্ন করেছি। আমি জিয়ার আদর্শের অনুসারী ও রাজপথের লড়াকু সৈনিক। বারবার কারা নির্যাতন সহ্য করেছি তবুও আন্দোলন থেকে সরিনি।আমার নেতা তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। মধ্যনগর উপজেলা বিএনপিকে হাইব্রিডমুক্ত,চাঁদাবাজ,দখলদার,মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত কমিটি গঠনের চেষ্টা করছি।আমাকে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দিলে আমি দলকে সুসংগঠিত করব এবং মধ্যনগর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলায় রূপান্তর করব—ইনশাল্লাহ।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ২নং দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইনামুল গনি রুবেল বলেন—বারবার প্রমাণ হয়েছে আব্দুল কাইয়ুম মজনু ভাই শুধু কারা নির্যাতিত নেতা নন, তিনি তৃণমূল বিএনপির আস্থার প্রতীক। দলের সবচেয়ে কঠিন সময়ে তিনি চারটি ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে এক ছাতার নিচে এনে সাহস জুগিয়েছেন, ঐক্য বজায় রেখেছেন এবং নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলনকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। যে নেতা দুর্দিনে দলের পতাকা উঁচু রাখেন, তিনিই প্রকৃত নেতা। আমরা তৃণমূল বিএনপির কর্মীরা দৃঢ় কণ্ঠে বলছি—মজনু ভাইয়ের ত্যাগ, নেতৃত্ব ও সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই।
আহম্মদ কবির
মোবাইল ০১৭২৫৭২৪৬০০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন