সুবুলপুর ফুটবল একাদশকে জার্সি উপহার দিলেন জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি হীরন বিশ্বাস
মোঃ লিয়াকত আলী
উপজেলা প্রতিনিধি
দামুড়হুদা,
ক্রীড়াঙ্গনকে উৎসাহিত করতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি হীরন বিশ্বাস। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সুবুলপুর ফুটবল একাদশকে নতুন জার্সি উপহার দিয়েছেন।
এই উদ্যোগটি শুধু একটি ফুটবল দলকে সহায়তা করাই নয়, বরং এলাকার তরুণদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়াতেও ভূমিকা রাখবে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টা দিকে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সুবুলপুর স্কুল মাঠে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এই জার্সিগুলো বিতরণ করা হয়।
হীরন বিশ্বাস নিজে উপস্থিত না থাকলেও তার পক্ষে জার্সিগুলো খেলোয়াড়দের হাতে তুলে দেন চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক এবং সাবেক কৃতি ফুটবলার বিপুল হাসান হ্যাজী। জার্সি বিতরণকালে খেলোয়াড় ও স্থানীয় ক্রীড়ামোদীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি হীরন বিশ্বাস বলেন, "আমি সবসময় আমার এলাকার যুবসমাজ ও খেলোয়াড়দের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে আমি পর্যায়ক্রমে খেলাধুলার সামগ্রী দেব, যাতে আমাদের তরুণরা মাদকের মতো ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে দূরে থেকে সুস্থ ও সুন্দর জীবন গড়তে পারে।"
তিনি আরও বলেন যে, যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন, যাতে তিনি এলাকার মানুষের পাশে সবসময় থাকতে পারেন।
প্রধান অতিথি রফিকুল হাসান তনু তার বক্তব্যে বলেন, "হীরন বিশ্বাসের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমাদের যুবসমাজকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে হলে তাদের জন্য খেলাধুলার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
হীরন বিশ্বাস সেই কাজটিই করছেন।" তিনি আরও বলেন, "খেলাধুলা শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
এই ধরনের উদ্যোগের ফলে আমাদের নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়রা উৎসাহিত হবে এবং ভবিষ্যতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।"
হীরন বিশ্বাসের এই উদ্যোগ স্থানীয় ক্রীড়া মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এতে শুধু সুবুলপুর ফুটবল একাদশই উপকৃত হবে না, বরং এলাকার অন্যান্য ক্রীড়া দলগুলোও ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলার জন্য অনুপ্রাণিত হবে বলে আশা করা যায়।
এই ধরনের মানবিক ও ক্রীড়াবান্ধব উদ্যোগ সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে পড়লে তা একটি সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন