কুড়িগ্রাম ভোগডাঙ্গা মডেল কলেজ আলোর বাতিঘর
মাইনুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভোগডাঙ্গা মডেল কলেজটি আলোর বাতিঘর। দৃষ্টি নন্দন পরিবেশে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও শিক্ষা দানের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। সদ্য এমপিও ভুক্ত এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ দবির উদ্দিন সহ সকল শিক্ষক, কর্মচারীর অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
কুড়িগ্রাম জেলা শহরের ছয় কিঃমিঃ দুরে কুড়িগ্রাম - ভূরুঙ্গামারী সড়কের পাশে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পাটেশ্বরী বাজার সংলগ্ন এলাকায় ২০০১ ইং সালে স্থাপিত হয়। ভোগডাঙ্গা মডেল কলেজ। স্থানীয় শুধি সমাজের উদ্যোগে কলেজটি প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও আলোর মুখ দেখাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয় অধ্যক্ষ সহ সকল শিক্ষক ও কর্মচারিদের। কলেজ প্রতিষ্ঠার এক যুগ পর কারিগরি শাখার এমপিও হলেও দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে থাকে জেনারেল শাখার এমপিও ভুক্তি । তার পরেও হাল না ছেড়ে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যান শিক্ষক -কর্মচারীরা। অবশেষে কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই যুগ পর জেনারেল শাখাও এমপিও ভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে এই কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসা ও কারিগরি শাখায় প্রায় চার শত জন শিক্ষার্থী পড়ছে। কলেজে চাকুরি করছেন ষাট জন শিক্ষক -কর্মচারী। এর মধ্যে এখনো এমপিও ভুক্ত হতে পারেনি ১১ জন শিক্ষক - কর্মচারী। তারা হলেন ইতিহাস বিষয়ের মোঃ নুরনবি সরকার, হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক সুমন কুমার রায়, ইংরেজি বিষয়ের শফিকুল ইসলাম,পর্দাথ বিজ্ঞানের মোঃ নুরনবি মিয়া,শরীরচর্চা শিক্ষক আব্দাহিয়ুর রহমান, প্রর্দশক পদে শাহ আলম ও মফিদুল রহমান, ল্যাব সহকারী মাঈদুল ইসলাম, পিয়ন সাইদুর রহমান, অফিস সহকারী মনির হোসেন ও আয়া বেনোয়ারা বেগম। নন এমপিও শিক্ষক -কর্মচারী বলেন,দীর্ঘ দিন কলেজ নন এমপিও ভুক্ত থাকার পরেও আমরা কলেজ নিয়মিত করেছি। কলেজ সবে মাত্র এমপিও ভুক্ত হয়েছে আমরাও এক সময় এমপিও ভুক্ত হবো। কলেজের শিক্ষার্থী মনিরা,সুমাইয়া,রুহুল আমিন,রিশাদ জামান বলে,আমাদের কলেজের লেখা পড়ার মান অনেক ভালো। স্যারেরা আমাদের অনেক ভালো করে বুঝান। অধ্যক্ষ স্যার সহ সকল স্যার- ম্যাডামদের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। অধ্যক্ষ মোঃ দবির উদ্দিন বলেন,কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে নন এমপিও ভুক্ত থাকার পরেও সকলের প্রচেষ্টায় কলেজটি বীরদর্পে টিকে ছিলো। আমাদের বড় সার্থকতা হলো আমরা এই এলাকায় একটি মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপহার দিতে পেরেছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন