সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 



১০০ বছরের জল নিকাশের রাস্তা ইটের গাঁথুনি দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে বন্ধ , হতভম্ব শ্রীমতি বর্নালী কানু সহ পরিবার 


মোমিন আলি লস্কর দক্ষিণ ২৪পরগনার (মগরাহাট):-


সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে লিফলেট বিতরণ, পোস্টার লাগানো, এবং বিভিন্ন মাধ্যমে সচেতনতা মূলক বার্তা প্রচার করা। 

মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা ,সরকার মশার লার্ভা বংশবৃদ্ধি রোধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে জমে থাকা জল নিষ্কাশন করা, লার্ভিসাইড ব্যবহার করা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। সরকারের এত জনসচেতনতা থাকা সত্ত্বেও ইটের গাঁথুনি দিয়ে জল নিকাশের রাস্তা বন্ধ করে ডেঙ্গু , ম্যালেরিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের রোগের আক্রান্ত প্রভাবশালী করতে চলেছে বলে এমনি অভিযোগ এসেছে মগরাহাট বিলন্দপুর গ্ৰামের শ্রীমতি বর্ণালী কানু পরিবারের পক্ষ থেকে।দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার লোক সভা কেন্দ্রের মগরাহাট থানার অন্তর্গত মগরাহাট বিলন্দপুর গ্ৰামে শ্রীমতী বর্ণালী কানু স্বামী শ্রী জহরলাল কানু সহ পরিবার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে এই গ্ৰামে সুষ্ঠুভাবে বসবাস করে আসছেন। পরিবার সূত্রে জানাগেছে শ্রীমতী বর্ণালী কানু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন আমাদের পরিবার (শ্বশুর পরিবার) দীর্ঘ ১০০বছর যাবত উক্ত স্থানে বসবাস করে আসছে সুষ্ঠুভাবে। তখন আমাদের বাড়ি ছিল একতলা টালির বাড়ি।বর্তমানে আমি বাড়ি তৈরি করেছি তিনতলা সরকারের অনুমোদন অনুযায়ী। আমার বাড়ির ঠিক পূর্ব পাশে জল নিকাশের একটি ড্রেন ছিল। ঐ ড্রেনের পূর্ব পাশে আব্দুল সামাদ ফকির (,পিতা আব্দুল ওদুদ ফকির) এর একটি রেশনের গো-ডাউনের দোকান ছিল।বর্তমানে উক্ত ব্যাক্তি ঐ গো-ডাউন ভেঙ্গে বড়ো ধরনের বিল্ডিং করছে ।আমার মনে হয় তিনি কোন সরকারের অনুমোদন অনুযায়ী ছাড়া এই বিল্ডিং তৈরি করছে।এমন কি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী জায়গা না ছেড়ে দিয়ে এবং আমার শ্বশুর পরিবারের ১০০বছর বসবাস করা বাড়ির জল নিকাশের রাস্তা জোর পূর্বক করে বন্ধ দিয়ে বিল্ডিং বানাচ্ছে। আমার বাড়ির পূর্ব পাশে আমি একটি ইটের গাঁথুনি দিয়ে একটি পাঁচিল দিয়ে ছিলাম কারন এখানে গাঁজা সহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করা হয়।এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি বাধ্য হয়ে আমার জায়গায় পাঁচিল দিয়ে এই সব সমাজবিরোধীদের আটকানোর জন্য এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছি । বর্তমানে আমাদের জায়গায় ঘিরে রাখা পাঁচিল জোর পূর্বক ভেঙে ইটগুলো নিয়ে আব্দুল সামাদ ফকির নিয়ে চলে গেছে এবং আমাদের বাড়ির আনুমানিক ১০০বছরের জলনিকাশের জায়গা ইটের গাঁথুনি দিয়ে জল আটকে রেখেছে।আমার আর একটা দাবী আমরা একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের সদস্য এখানে বসবাস করছি বহুদিন ধরে। কিন্তু আমি ভদ্র পরিবারের এক মহিলা হয়ে প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাইছি এইযে আমার জানালার সোজা অন্য বাক্তি কিভাবে জানালা রাখতে পারে তাও আবার গো-ডাইনের জানালা ।এই সমস্ত বিষয় আমি আমার গ্ৰামের সদস্য থেকে উদ্ধত প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকেও আমি জানিয়ে ছিলাম এখন ও পর্যন্ত কোন তাহার কোন সুরাহো মেলেনি।বর্তমানে আমার বাড়ির পূর্ব পাশে আনুমানিক এক-দুই ফুট বৃষ্টির জল জমে আছে এবং আমার সহ-পরিবার কে নিয়ে বসবাস করা খুবই মুশকিলের মধ্যে আছি । কারণ ঐ বৃষ্টির জমা জলে জল দুষিত হচ্ছে , বিভিন্ন রোগের সৃষ্টির পাদুর্বল হতে পারে এমনকি মারাত্মক ম্যালেরিয়া রোগ নামক জীবাণু সৃষ্টি হতে চলেছে।তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে জানাতে চাই যদি সরকারী কর্মচারীর অবহেলায় আমাদের পরিবারের মধ্যে কোন মারাত্মক মহামারী দেখা দেয় তার জন্য সমস্ত দায়ভার নিতে হবে এই সরকারকে।আজ সাংবাদিকদের সামনে মগরাহাট দু নম্বর ব্লকের বিডিও তুহিন শুভ্র মহান্তি বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দেখব কি অভিযোগ আছে, তারপর আপনাদেরকে জানাবো।

Post a Comment

أحدث أقدم