কুয়াকাটায় (ইউএনও) এর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল।
আব্দুল মান্নান ঃ পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে স্থানীয় ফটোগ্রাফার ও স্টুডিও মালিকরা।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন স্টুডিও মালিক ও কর্মচারীরা হাতে ঝাড়ু নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা ইউএনও’র পদত্যাগ ও অপসারণের দাবিতে স্লোগান দেন।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্টুডিও বন্ধের মৌখিক নির্দেশনা পাওয়ার পর তারা তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখেন। তবে পূর্ব কোনো নোটিশ বা আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই মঙ্গলবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সৈকতের একাধিক স্টুডিওর তালা ভেঙে কম্পিউটার, ক্যামেরা, প্রিন্টারসহ মূল্যবান সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
এক ফটোগ্রাফার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই দোকানের তালা ভেঙে মালামাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা সরাসরি ডাকাতির শামিল। আমরা এই ডাকাত ইউএনও’র অপসারণ চাই।’
সৈকতের স্টুডিও মালিক দোজাহান শেখ, কাওসার হাওলাদার, মো. সোহেল, ওসমান ও ফিরোজসহ অনেকে জানান, প্রশাসনের এমন আচরণে তারা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। দীর্ঘদিনের ব্যবসা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে বলে তারা দাবি করেন। এ ধরনের আচরণ প্রশাসনিক ক্ষমতার চরম অপব্যবহার বলে মনে করেন তারা। এ কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইউএনও’র অপসারণসহ জব্দকৃত মালামাল দ্রুত ফেরত চেয়েছেন। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় কুয়াকাটা সৈকতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্টুডিও বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টুডিওগুলো বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু স্টুডিও নির্দেশনা না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে মালামাল জব্দ করা হয়েছে।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন