দিনাজপুর মহিলা পরিষদের উদ্যোগে কবি সুফিয়া কামালের ১১৪তম জন্ম জয়ন্তী পালিত
মো:মেহেদী হাসান ফুয়াদ
দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে চিরঞ্জীব বেগম সুফিয়া কামাল-এর ১১৪তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২২ জুন-২০২৫) বিকেল ৪ টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে প্রদীপ প্রজ্জ্বোলন ও আবহ সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জননী সাহসিকা কবি সুফিয়া কামালের ১১৪তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংগীত পরিবেশন করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি অর্চনা অধিকারী, সংগীত শিল্পী সীমা ও স্বীকৃতি। কবিতা আবৃত্তি করেন সাবরিনা নূর শাপলা ও সুস্মিতা পোদ্দার।
উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুবিনা আকতার বলেন, সুফিয়া কামাল একটা সফলতার নাম। অসাম্প্রদায়িক চেতনার নাম। আমরা অবগাহন করছি অহরহ সেই চেতনার নির্যাসে। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে ১৯১১ সনের ২০ শে জুন কোন এক শুভক্ষনে জন্ম নিয়েছিলেন এই মহিয়সী নারী। রক্তেই বোধ হয় ছিল তার স্বাধীনতার নেশা। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তা-ধারা ও প্রতিজ্ঞা কবি সুফিয়া কামালের জীবনে সঞ্চারিত হয় ও সূদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। কবি সুফিয়া কামাল রাজনীতিতে বড় ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং নারীর চেতনাকে বড় করে তোলার সৎ সাহস দেখিয়েছিলেন। এক দিকে সাহিত্যবোধ, অপর দিকে গণমানুষকে চেতনাবোধে আলোকিত করা ছিল তাঁর প্রেরণার উৎস। বায়ান্ন থেকে শুরু করে স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতামূলক আন্দোলনে কবি সুফিয়া কামালের নেতৃত্ব দেয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি। সুফিয়া কামাল ছিলেন সমাজ নিরীক্ষক ও সমাজসংস্কারক। এই অসাধারন কবিকে স্মরণ করে প্রজন্মকে আলোকিত করতে হবে বলে তিনি বলেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি অর্চনা অধিকারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্ব লিখিত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক রুবি আফরোজ।
আরো বক্তব্য রাখেন সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম, রবীন্দ্র সম্মিলন পরিষদের সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা, মনি মেলার পরিচালক নুরুল মতিন সৈকত, কবি ও প্রাবন্ধিক মাসুদ মুস্তাফিজ, দৈনিক উত্তরবাংলা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক জিনাত রহমান, কবি অদিতি রায়, মহিলা পরিষদ জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাহাবুবা খাতুন, মিনতি ঘোষ, মনোয়ারা সানু, গোলেনুর, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা পলি, আন্দোলন সম্পাদক অনামিকা পান্ডে, সদস্য সিবানী উড়াও, মিনতি এক্কা, তরুণী সদস্য লিপা লাকড়া, খুকি হেমব্রম, লাবুনী কুন্ডু, শতাব্দি কুন্ডু প্রমুখ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন