মধ্যনগরে ঘাসি নদীতে বাঁশ জালের আড়াআড়ি বাঁধ,মাছের অবাধ বিচরণে বাধাগ্রস্ত
আহম্মদ কবিরঃ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরের ঘাসি নদীর একাধিক স্থানে বাঁশ জালের আড়াআড়ি বাধ দিয়ে মৎস্য আহরণ করছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র।দীর্ঘদিন ধরে নদীর মূল প্রবাহে বাঁশ জালের বাঁধ দিয়ে মাছের অবাধ বিচরণে বাধাগ্রস্ত ও নদী পথে নৌ চলাচলে বিঘ্নিত করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। যদিও মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ অনুযায়ী নদীতে এইভাবে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
শনিবার (৩০মে)সরেজমিন দেখাযায় উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের বংশীকুন্ডা বাজার সংলগ্ন বাসাউড়া,সানুয়া,মাকড়দি,কাউহানিসহ কয়েকটি গ্রামের পাশে ঘাসি নদীর এপার-ওপার আড়াআড়িভাবে শতশত বাঁশ পুঁতে নদীর মূল প্রবাহে জালের বাঁধ দিয়ে চায়না দোয়ারি জাল ও মশারী নেট জাল ও সুতি জাল দিয়ে ফাঁদ তৈরি করে মৎস্য আহরণ করছে প্রভাবশালী চক্র।
জানাযায় বাঁধের কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ও মাছের অবাধ বিচরণে বাধা ছাড়াও নৌযান চলাচলেও বিঘ্নিত হচ্ছে।এছাড়াও বর্তমানে হাওরাঞ্চলে মিঠা পানির মাছের প্রজনন মৌসুম এই সময়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও ওই চক্রটি নিষিদ্ধ সরঞ্জাম নেটজাল চায়না দোয়ারি জাল দিয়ে অবাধে পোনা ও মা মাছ আহরণ করে যাচ্ছে প্রতিদিন।
স্থানীয় সচেতন মহল জানান বাঁশ ও জাল দিয়ে আড়াআড়ি ভেড়া দিয়ে একটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মাছের প্রজনন মৌসুমে মৎস্য আহরণ করা,নিঃসন্দেহে হুমকি স্বরূপ ও অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড।এছাড়াও নৌযান চলাচলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই নদী দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারণ।
কলমাকান্দা থেকে পর্যটক নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা নৌচালক ইমরান হোসেন জানান আমরা বর্ষা আসলেই প্রতিবছর পর্যটক নিয়ে এই নদীপথে যাতায়াত করে থাকি।কিন্তু এই ঘাসি নদীতে এসে বাঁশ ও জালের আড়াআড়ি বাঁধের কারণে আমাদের চলাচলে ভোগান্তি হয়।অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত ভাবেই দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।
এ ব্যাপারে ধর্মপাশা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মাহমুদুর রহমান জানান,নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে নদীর প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইউএনও স্যার এর সাথে কথা বলে অবিলম্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জ্বল রায় বলেন,নদীপথে বাঁশ জাল দিয়ে বাধ দেওয়া যাবে না।কেউ দিয়ে থাকলে দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আহম্মদ কবির
মোবাইল ০১৭২৫৭২৪৬০০
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন