সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যু, এলাকাবাসীর ক্লিনিক ঘেরাও
দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে একতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারের পর এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী সন্ধ্যা থেকে ক্লিনিক ঘেরাও করে রাখে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে রাত ২টার দিকে ফিরে যান বিক্ষুব্ধরা।
শুক্রবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় বীরগঞ্জ উপজেলার ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ডের একতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত প্রসূতি আশা মনি রায় (২০) বীরগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের হৃদয় রায়ের স্ত্রী।
জানা যায়, প্রসবব্যথা শুরু হলে সকালে আশা মনি রায়কে একতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এসময় জানানো হয় নরমাল ডেলিভারি সম্ভব নয়। তাই সিজার করতে হবে। প্রথম সন্তান হওয়ায় পরিবারের লোকজন কোনো প্রকার ঝুঁকি নিতে চায়নি। তাই তারা সিজার করতে রাজি হন। বিকেল ৩টার সময় গাইনি ডা. ইয়াসমিন সিজার করেন। সিজারের মাধ্যমে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন আশা মনি রায়।
সিজারের পর রোগীর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কিন্তু রোগীর লোকজনদের তা বুঝতে না দিয়ে ওটির মধ্যে রোগীকে রেখে বলা হয় জ্ঞান ফিরলেই বেডে দেওয়া হবে। পরে অবস্থার অবনতি হলে বিকেল সাড়ে ৫টার সময় অ্যাম্বুলেন্স যোগে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়। হাসাপাতালে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্লিনিক ঘেরাও করে রাখে। অবস্থা বেগতিক দেখে ক্লিনিকের মালিক রিপন পালিয়ে যান।
বীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল গফুর এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন