কুরবানীর ভ্যাটেরিনারী ঔষধ ব্যবসায়ীদের হরমন স্টোরয়েড ব্যবহার বিক্রয় বিষয়ক সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত
মো:মেহেদী হাসান ফুয়াদ
দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
“আমিষেই শক্তি, আমিষেই মুক্তি”-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০ মে মঙ্গলবার জেলা ভ্যাটেরিনারী হাসপাতাল দিনাজপুরের আয়োজনে জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের হলরুমে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা-২০২৫ উপলক্ষ্যে নিরাপদ কোরবানীর লক্ষ্যে ভ্যাটেরিনারী ঔষধ ব্যবসায়ীদের হরমন স্টোরয়েড ব্যবহার ও বিক্রয় বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা ভ্যাটেরিনারী অফিসার ড. আশিকা আকবর তৃষার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রহিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দিন, জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র দিনাজপুরের উপ-পরিচালক ডাঃ মাহফুজা খাতুন, ভ্যাটেরিনারী সার্জন ডাঃ এম.এ জলিল, জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের থেরোলিস্ট ডাঃ মোঃ আব্দুস সালাম। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম কিবরিয়া। উৎপাদিত ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি, ঔষধ বিক্রেতা, খামারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মাসুদ রানা, মোঃ জাকারিয়া, আসাদুজ্জামান, নুর ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ আতিকুর রহমান ও মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম। বক্তারা বলেন, এক শ্রেণির অসাদু ব্যবসায়ী তারা বেশী লাভের আশায় বিভিন্ন দেশের মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করছে। যার ফলে আমাদের জাতি ও প্রজন্মের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের ঔষধ পশুর শরীরে ব্যবহারের ফলে আমাদের প্রজন্ম জটিল রোগী ভুগতে হচ্ছে। আমরা দেখেছি যেমন, তেমন চিকিৎসকের কথা শুনে এন্টিবায়েটিক ঔষধ ব্যবহার করার ফলে পশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গরু মোটা তাজা করণের নামে অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করার ফলে পশু তার বেঁচে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে রেজিস্টার মেন্টেন না করার ফলে এইসব প্রাণির মাংস খেয়ে আমদের জাতি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে নিজের বিবেককে প্রশ্ন করতে হবে যে, আমরা কি আদও নিরাপদ মাংস খাচ্ছি ? আমরা কি আমাদের প্রজন্মের জন্য সুন্দর আমিষযুক্ত পরিবেশ তৈরী করতে পেরেছি ? তাহলে আসুন হরমন স্টোরয়েড ঔষধগুলো পরিত্যাগ করি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন