রাজশাহীর আ:লীগ নেতা ছাত্র জনতার ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসী নাসিরুদ্দিন আলী এখনো ‘বীরদর্পে’
নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের আ:লীগ নেতা ছাত্র জনতার ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসী নাসিরুদ্দিন আলী এখনো ‘বীরদর্পে
২৯-০৫-২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার
গত ৫ আগস্ট রাজশাহীতে চলমান আন্দোলনের সময় বাম ঘাড়ে রাইফেল নিয়ে ভাইরাল হওয়া সন্ত্রাসী মো:নাসিরুদ্দিন
আলী ছাত্র ও জনতার ওপর হামলা ও সাকিব আনজুম কে নির্মমভাবে প্রকাশে হত্যা করে।
ঘাড়ে রাইফেল নিয়ে ভাইরাল হওয়া সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং
লিডার মো: নাসিরুদ্দিন আলী ছিলেন রাসিকের সাবেক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজশাহী
(পবা- মোহনপুর ৩) আসনের সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিন ও রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাসিকের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন ঘনিষ্ট।
আব্দুল মোমিন ঘনিষ্ট হওযায় কিশোর গ্যাং লালন,জমি দখল,চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ও রয়েছে মো: নাসিরুদ্দিন আলী বিরুদ্ধে।
আওয়ামী সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন মো: নাসিরুদ্দিন আলী নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের তালাইমারী মহল্লার শহীদ বাবর আলী রোড়ের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
তিনি আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে থাকতেন সামনের সারিতে। চালিয়ে যাচ্ছে এখনো কর্মকান্ড। আওয়ামী লীগ নেতারা যখন আত্মগোপনে,তখন সুবিধাভোগী মো: নাসিরুদ্দিন আলী এখনো ‘বীরদর্পে’।আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকলেও এতে কিছু হওয়ার পরে তারঁ বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। এর খুঁটি জোর কোথায় ?
স্থানীয়রা জানান,নাসিরুদ্দিন আলীর বাবা নিজাম উদ্দিন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন ডিপার্টমেন্টে কর্মরত ছিলেন। নাসিরুদ্দিন আলী কিছু বছর আগে বাসের হেলপার ছিলেন এবং বর্তমান রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য,রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক,রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক,রাসিক ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর ক্যাডার ছিলেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন,নাসিরুদ্দিন আলী আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপটে প্রচুর টাকা কামিয়েছেন। গত রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে তিনি সদস্য পদে ভোট করে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে নির্বাচিত হতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা সবাই যখন আত্মগোপনে,তখন মো: নাসিরুদ্দিন আলী বীরদর্পে ঘুরছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহল্লার একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা বলেন,স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করেই তিনি এলাকায় অবস্থান করছেন এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মকান্ড।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন