সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 



দুর্গাপূজা উদযাপন নিশ্চিত করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কর্তৃক পূজামণ্ডপ পরিদর্শন


মোঃ মিনারুল ইসলাম 

 চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি 


সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন নিশ্চিত করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।


এর অংশ হিসেবে ১ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিঃ বুধবার সন্ধ্যা ৬:৩০ ঘটিকা থেকে দামুড়হুদা, দর্শনা ও জীবননগর থানাধীন বিভিন্ন পূজামণ্ডপ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার জনাব খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা, চুয়াডাঙ্গা।


এই পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য ছিল মণ্ডপগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং পূজার সুষ্ঠু আয়োজনে কোনো ঘাটতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা।


পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা, পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করেন। বিশেষ করে, পূজা চলাকালীন সময়ে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং ভক্তরা যেন শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়।


পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দ, পূজামণ্ডপ কমিটির সদস্য ও আয়োজকদের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তারা পূজার নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।


পুলিশ সুপার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন যাতে কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি সরকারি নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলার গুরুত্ব আরোপ করেন। 


পাশাপাশি, যথাসময়ে পূজা বিসর্জন সম্পন্ন করার মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা সমাপ্তির জন্য পূজামণ্ডপ কমিটিগুলোকে অনুরোধ জানান।


পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে আয়োজকদের উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।


এই উদ্যোগকে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে একটি অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।


জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ বছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ১১৩টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি মণ্ডপেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।


এছাড়াও, জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং পূজামণ্ডপের আশেপাশে সাদা পোশাকে ডিবি (গোয়েন্দা পুলিশ), ডিএসবি (জেলা বিশেষ শাখা) এবং ট্রাফিক পুলিশ নিরবচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করছে।


যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ সময় জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের এই যৌথ পরিদর্শন জেলার সকল মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা ও আস্থার বার্তা পৌঁছে দিয়েছে, যা শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।

Post a Comment

أحدث أقدم