তাহিরপুরে ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচন ৬ সেপ্টেম্বর; নির্বাচনের আগেই ভোটারদের ভুড়িভোজ সভাপতি প্রার্থীর
স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'কে নতুন করে সাজাতে সারা দেশের ন্যায় তাহিরপুর উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ৪ নং বড়দল উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আগামী ৬ সেপ্টেম্বর রোববার। এবং প্রতীক বরাদ্দ হয় আজ ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার।
কিন্তু নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনের দু'দিন আগেই আজ ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে গরু জবাই করে নিজ বাড়ি সামনে সাধারণ ভোটারদের ভুড়িভোজ করালেন ইউনিয়ন বিএনপির এক সভাপতি প্রার্থী। এমন অভিযোগ করছেন অন্য প্রার্থীদের। অভিযুক্ত সভাপতি প্রার্থী নাম নজরুল ইসলাম শাহ।
জানাযায়, ৪নং বড়দল উত্তর ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করে বিএনপি। এবং আগামী ৬ সেপ্টেম্বর রোববার আত্র ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তারিখ ধার্য করা হয়। ওই দিন উত্তর বড়দল ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের ৪৫৯ জন (প্রতি ওয়ার্ডের ৫১ জন ভোটার) ভোটারের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। এতে সভাপতি প্রার্থী ৫ জন, সহ সভাপতি প্রার্থী ৩ জন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ৪ জন, সহ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ৪ জন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী ৪জন। কিন্তু সভাপতি প্রার্থী নজরুল ইসলাম শাহ নির্বাচনের আচারবিধি লংঘন করে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নিজ বসত বাড়ি আত্র ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ গাও গরু জবাই করে সকল সাধারণ ভোটারদের ভুড়িভোজ করান। এতে সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে অন্য প্রার্থীরা। তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করে নজরুল ইসলাম শাহ এই প্রতিবেদককে জানান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় উত্তর বড়দল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে আজ। আমাকে মিলাদ মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে দাওয়াত করা আমি তাদের দাওয়াতি হিসেবে যাই। এরকম কোন কিছু হয় নি। অন্য প্রার্থীরা শুধুশুধু আমার উপর মিথ্যা রটাচ্ছে।
সভাপতি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটির থেকে শুরু করা ভোটার তালিকা তৈরিতেও নজরুল ইসলাম শাহর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আছে। যার ফলে সাধারণ নেতাকর্মীরা গত কয়েকদিন আগেও নজরুল শাহর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করে। আজ আমার নির্বাচনের আচারবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের গরুর মাংস দিয়ে খাওয়ানো হয়। বিষয়টি আমি নির্বাচন কমিশনসহ জেলা নেতাকর্মীদের জানিয়েছি। যদি নজরুল শাহর বিরুদ্ধে সুষ্ঠু কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয়। আমি সকল প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচন বর্জন করাসহ সাধারণ নেতাকর্মীদের সাথে রাস্তায় আন্দোলনে নামবো।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা উপজেলার বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান উজ্জ্বল বলেন, বিষয়টি অন্য প্রার্থীরা আমাকে জানিয়েছে। তবে প্রার্থী যদি তার বাড়িতে ভোটারদের খাওয়ায় তাহলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। এরকম ঘটনা ঘটলে দলীয় যে ব্যবস্থা আছে সেই নিয়মে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘআর যদি অন্য কারো বাড়িতে খাওয়ানো হয় সে খাওয়াতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন