চুুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা হাউলী বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
মো: লিয়াকত আলী
উপজেলা প্রতিনিধি দামুড়হুদা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে৷ দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়ন বি এন পির আয়োজনে এক বণ্যাঢ্য শোভাযাত্রা দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে হাউলী ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে লোকনাথপুর হেলিপ্যাড মাঠে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০: ঘটিকার সময় দামুড়হুদা বিএনপির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি বলেন ৪৭ বছর আজকের এই দিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পির পথ শুরু হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু তিনি বলেন অনেক নির্যাতন হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পির কর্মীদের ওপর।
আজ সুষ্ঠভাবে জাতীয়তাবাদী দল বি এন পির ৪৭ তম পতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করতে পারছে।
আরও বক্তব্য রাখেন হাউলী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ইউসূফ আলী তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর বাংলার রাখাল রাজাখ্যাত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজ হাতে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা করেন।
সেই থেকে এই দলের নেতাকর্মীরা আজ পর্যন্ত দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের কান্তি কালেও বন্যা জলোচ্ছ্বাস ও মহামারীতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আজকের এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বারবার স্মরণ করছি।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অল্প কিছুদিন দেশ সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি যদি দীর্ঘ সময় দেশ সেবার সুযোগ পেতেন তাহলে এদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতেন।
তার সহধর্মিনী আপোষীণ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনিও দেশের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যায়। আগামী নির্বাচনে দল ক্ষমতায় এলে এদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
হাউলী ইউনিয়ন বি এন পির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের অন্ধকার কারাগারে আটকে রেখেছিল।
বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে আমাদের নেতাকর্মীরা মাঠে থেকে আন্দোলনকে বেগবান করেছিল। ফ্যাসিস্ট সরকার গোটা দেশটাকে একটি কারাগারে পরিণত করেছিল। আজকে দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা হয়েছি মুক্ত।
আগামী নির্বাচনে হাউলী ইউনিয়ন তথা চুয়াডাঙ্গা ২ আসন ফিরিয়ে আনতে সকল নেতাকর্মীকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা জেলখানায় নিদারুন কষ্ট করেছি। মানবেতর জীবন যাপন করেছি। রাজনৈতিক সহকর্মীরা দীর্ঘ ১৬ বছর তাদের বাড়িতে থাকতে পারেননি।
পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় অনেকে আহত হয়েছে। আক্রমণের শিকার হয়ে কেউ কেউ মারাও গিয়েছে। সকল দ্বিধাদন্দ ও মনের কষ্ট ভুলে দলকে এগিয়ে নিতে এবং ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করতে হবে।
إرسال تعليق