মেলান্দহে উশনিতা হত্যার ঘটনা সাড়ে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা
জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার গৃহবধু উশনিতা হত্যার ঘটনা নগদ সাড়ে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ। শনিবার রাতে উপজেলার প্রভাবশালী কতিপয় মাতব্বরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
নিহত উশনিতা মাদারগঞ্জ উপজেলার ৩নং গুনারীতলা ইউনিয়নের কানিপাড়া গ্রামের ওয়াজেদ মন্ডলের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার স্বামী রবিন মিয়া জামালপুর শহরে যান। দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পান। ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দেন তিনি। এ সময় তিনি দেখেন, উশনিতা ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। পরে জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে উশনিতার মরদেহ নামিয়ে আনেন তিনি। আজ সকালে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের নিহতের শ্বশুর রইচ উদ্দিন (৪৫) ও শাশুড়ি ফিরোজা বেগমকে (৪০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেপুলিশ। তবে স্বামী রবিন মিয়া এখনও পলাতক রয়েছেন।
নিহত উশনিতার সৎমা শিল্পী বেগম থানায় সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরে উশনিতার বিয়ে হয় রবিন মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই তাকে নির্যাতন করা হতো। (শুক্রবার দিনগত) রাত তিনটার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে বলা হয়, আমার মেয়ে ফাঁস দিয়েছে। কিন্তু আমার মেয়ে ফাঁস দিতে পারে না। ওকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহে থাকা পোশাক ছেঁড়া ছিল। এটা হত্যা, আমরা এর বিচার চাই।’
উশনিতার সৎ মা সহ আত্মীয়স্বজন আইনের আশ্রয় নিতে থানায় অবস্থান করলেও প্রভাবশালী মাতব্বরগন কৌশলে তাদের বাহিরে ডেকে নেন।ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মিটমাট করতে তাদের বাধ্য করেন। বৈঠকে উশনিতার মাকে নগদ সাড়ে ৭ লাখ টাকা দেওয়ার বিনিময়ে বিষয়টি মিটমাট করা হয়। এতে তিনি আর কোন অভিযোগ দিতে রাজি হননি এমনি বারংবার থানায় ডাকা হলেও যাননি।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন,মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে পরিবারের কেউ বাদী না হলেও পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন