সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 



গ্রামআদালতে বিচারের রায় না মানার সংস্কৃতি হতে সকলকে বেরিয়ে আসতে হবে---উজ্জ্বল কুমার ঘোষ


মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি 


চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলাপর্যায়ে গ্রামআদালত কার্যক্রমের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশে গ্রামআদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প এই সভার আয়োজন করে।

সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, গ্রামআদালত আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা, এটি একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে চেয়ারম্যানদের সকলকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কোনো দলের হয়ে কাজ করা যাবে না। গ্রামআদালতের বিচার প্রসঙ্গে উজ্জ্বল কুমার ঘোষ বলেন— অনেকেই এ আদালতের রায় মানেন না বা বিচারের দিন উপস্থিত হন না। মনে করেন, চেয়ারম্যান বা ইউনিয়ন পরিষদের কোনো ক্ষমতা নেই। গ্রামআদালতে রায় না মানার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যতদিন রায় মানার সংস্কৃতি না মানতে পারবে, ততদিন কোনো সমস্যার নিষ্পত্তি হবে না। তখন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে হাজির হতে হবে। সভায় ৫ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ৪৫টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বাংলাদেশ গ্রামআদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ গ্রামআদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ম্যানেজার হাফিজ আল আসাদ। বার্ষিক কার্যক্রমে ভূমিকা পালন করায় প্রথম স্থান করে নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়ন, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে নাচোল উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে ভোলাহাট উপজেলার দলদলি ইউনিয়ন। বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকার জনগণ বিশেষত নারী, জাতিগত সংখ্যালঘু এবং সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর মানুষের ন্যায়বিচারের সুযোগ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ও সহযোগী সংস্থা ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন ইএসডিও জেলার ৫টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নে প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশ গ্রামআদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পে কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন