সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 



২৫সালের চতুর্থ ধাপে আল মুসাইদাহ ফাউন্ডেশন এর ফ্রি চক্ষু ছানি অপারেশন সম্পন্ন 


মোঃ আতিক উল্লাহ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি;


মানবসেবার লক্ষ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম নগরীর   নাসিরাবাদ মহিলা কলেজ এর সামনে অবস্থিত

চট্টগ্রাম লায়ন্স আই ইনিস্টিউট এন্ড হাসপাতাল  এ  আল-মুসাইদাহ ফাউন্ডেশন এর ব্যবস্থাপনাই জেকো ফাউন্ডেশন কানাডা এ অর্থায়নে সম্পূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী ফ্রি চক্ষু ছানি  অপারেশন ক্যাম্প।

 

গত সোমবার  (১১ আগস্ট থেকে বুধবার ১৩ আগস্ট )২৫ই পর্যন্ত আয়োজিত এই ক্যাম্পে প্রায় একশতাধিক  মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন।


ক্যাম্পটির আয়োজন করেন জেকো ফাউন্ডেশন কানাডা এ অর্থায়নে এবং আল মুসাইদাহ ফাউন্ডেশন এর  সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই 

ক্যাম্পে লায়ন্স  চক্ষু হাসপাতালের সহযোগিতায় একটি ৬ সদস্যের  টিম কাজ করে। এতে ছিলেন আবদুল কাদের রুবেল,ওমর ফারক,আবদুল আজিজ,মোহাম্মদ ইউছুফ, রায়হান প্রমুখ।

সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলে এই সেবা কার্যক্রম, যেখানে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত টিম প্রাথমিকভাবে চক্ষু রোগ নির্ণয়, ফ্রি চিকিৎসা, চশমা প্রদান এবং ছানি রোগীদের বাছাই করেন। পরবর্তীতে নির্বাচিত রোগীদের বিনামূল্যে ছানি অপারেশন, ওষুধ ও সানগ্লাস সরবরাহ করা হয়েছে।


ক্যাম্পের সমাপনী দিনে উপস্থিত ছিলেন ; চট্টগ্রাম লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিউট এন্ড হাসপাতাল এর এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ইনসাফি হান্না, আল মুসাইদাহ ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা রতন সেন, 

আরো উপস্থিত ছিলেন ; চট্টগ্রাম লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিউট এন্ড হাসপাতাল এর পরিচালক ডাঃ মোঃ মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিউট এন্ড হাসপাতাল এর ক্যাম্প কো-ডিনেটর জানাব জসিম উদ্দিন। 


ক্যাম্পে আগত  রোগী চোখের বিনামূল্যে পরীক্ষা, চশমা ও ওষুধ সংগ্রহের সুযোগ পান। ছানি রোগীদের শনাক্ত করতে করা হয় চোখের প্রেশার, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষাসহ নানা ধরনের মেডিকেল চেকআপ। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ৮০ জন রোগীকে ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। আল মুসাইদাহ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক লায়ন আবু হাসান বলেন , "সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আমরা এই ক্যাম্পের আয়োজন করেছি। অনেক মানুষ অর্থের অভাবে চোখের চিকিৎসা করাতে পারেন না। এই ক্যাম্প তাদের জন্য আশার আলো হয়ে এসেছে। ভবিষ্যতেও এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।"


চিকিৎসা নিতে আসা সনোওয়ারা  বেগম বলেন, “চোখের সমস্যায় অনেকদিন ধরে ভুগছিলাম, কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি। এখানে এসে বিনা মূল্যে ডাক্তার দেখিয়ে অপারেশনের সুযোগ পেয়েছি—এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া এবং আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন