জীবননগর বাসস্ট্যান্ড চত্বুরে নবনির্মিত দৃষ্টিন্দন ইসলামিক ভাস্বর্যের শুভ উদ্ভোধন
মোঃ মিনারুল ইসলাম
চুুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতনিধি
আজ ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার ২০২৫ ইং চুুয়াডাঙ্গা জেলার জীবনগর উপজেলার জীবননগর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক ভাস্কর্যের শুভ উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো. আল-আমীন, জীবননগর পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ জাদী মাহবুবা মঞ্জুর মৌনা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাকির উদ্দিন মোড়ল, জীবননগর থানার ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন যে ভাস্কর্য হলো দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা (ত্রিমাত্রিক) সহ ত্রিমাত্রিক শিল্পকর্ম, যা কাঠ, ধাতু, পাথর, মাটি বা অন্যান্য উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন খোদাই, ঢালাই বা সংযোজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি করা যায় এবং এটি কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা ধারণার প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
এই ভাস্কর্যের মূল বৈশিষ্ট্য হলো ত্রিমাত্রিকতা ভাস্কর্যকে অবশ্যই দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা—অর্থাৎ তিনটি মাত্রা থাকতে হবে।
উপকরণ কাঠ, পাথর, ধাতু, কাদামাটি, মোম বা এমনকি শিল্প বর্জ্যের মতো বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে ভাস্কর্য তৈরি করা যায়।
এটি খোদাই (যেখানে উপাদান অপসারণ করা হয়), ঢালাই (যেখানে গলিত উপাদান ছাঁচে ঢেলে আকার দেওয়া হয়) বা সংযোজন (যেখানে উপাদান যোগ করে আকার দেওয়া হয়) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হতে পারে।
একটি ভাস্কর্যের নকশায় আকার, গঠন, আলো ও ছায়ার ব্যবহার এবং রঙ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা স্থান জুড়ে এর প্রভাব তৈরি করে।
উদাহরণ স্বুরুপ বলা যায় একটি পুতুল এবং মুখোশ হলো সহজ ভাস্কর্যের উদাহরণ।
রেনেসাঁ এবং আধুনিক যুগে বিভিন্ন ধরণের ও বহুমুখী আকৃতির ভাস্কর্য ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়েছে।
সংক্ষেপে, ভাস্কর্য হলো ত্রিমাত্রিক স্থান দখলকারী এক ধরনের শিল্পকর্ম, যা নির্দিষ্ট উপাদানে তৈরি করা হয় এবং কোনো রূপ বা ধারণাকে ফুটিয়ে তোলে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন