গাছ লাগাই পরিবেশ বাচাই।
কাদিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফলজ বৃক্ষ রোপন ও বিতরন।
মোঃ মিনারুল ইসলাম চুুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতনিধি
১০/০৭/২০২৫ ইং বৃহস্পতিবার
চুুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ০৬ নং হাউলী ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের কাদিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফলজ বৃক্ষ রোপন ও বিতরন কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দামুড়হুদায় কাদিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলজ বৃক্ষ রোপণ ও বিতরন করা হয়েছে। সবুজের পথে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি
চারিদিকে সবুজে সবুজে ঢেকে যাচ্ছে কাদিপুর সরকারী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। শিক্ষার্থীদের পরিবেশবান্ধব ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্কুল মাঠের চারপাশে ফলজ গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ মহতী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন
চুয়াডাঙ্গা-০২ আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির মনোনীত এমপি পদ প্রার্থী ও বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর জেলা আমির জনাব
মোঃ রুহুল আমিন । বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আমির নায়েব আলী। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাও আবুজার গিফারী। জেলা মাজলিসুল মুফাসসিরিনের সেক্রেটারি ও দামুড়হুদা উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি হাফেজ মাও আব্দুল খালেক। দামুড়হুদা উপজেলা যুব জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ মনিরুজ্জামান। দামুড়হুদা উপজেলা যুব জামায়াতের প্রচার সম্পাদক, মোঃ ইকরামুল হোসেন (ইকরাম)। ০৬ নং হাউলী ইউনিয়ন আমির মোঃ ওবাইদুল হক, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আমির মোঃ আবুল কাশেম। হাউলী ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন প্রমূখ।
বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ আসমা খাতুন ও সহকারী শিক্ষক মণ্ডলী, স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক প্রতিনিধি সদস্য সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পুরো রোপণ কার্যক্রমের সহসহযোগিতা করেন যুব জামায়েত সদস্য গন।
বৃক্ষ রোপন কর্মসুচীতে উদ্বোধনী বক্তব্যে জনাব রুহুল আমিন বলেন
"আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুধু শিক্ষা অর্জনের স্থান নয়, এটি হবে একটি আদর্শ সমাজ তৈরির কারখানা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠুক এবং নিজেদের হাতে গড়া সবুজ ভবিষ্যতের জন্য কাজ করুক।"
উপজেলা আমীর নায়েব আলী বলেন, “আজকের এই বৃক্ষরোপণ শুধু একটি কর্মসূচি নয়, বরং একটি প্রতিজ্ঞা—আমরা একটি সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে চাই।”
শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে দিনটি হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। স্কুলের অভিভাবক হিসেবে প্রধান শিক্ষক মোছাঃ আসমা খাতুন বলেন, “আমাদের সন্তানদের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে হলে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।" একই সাথে সমাজের প্রতিটি নাগরিক গণ বৃক্ষ রোপণকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে দেখার আহ্বান জানান।
বৃক্ষরোপণের পুরো কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক মোঃ ইকরাম হোসেন ইকরাম । তিনি বলেন,
"আমরা এই ফলজ গাছ শুধু লাগিয়েই থেমে থাকবো না, নিয়মিত পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে। পরিবেশ সুরক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি একটি বিনিয়োগ।"
কাদিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে প্রমাণ করে—যদি ইচ্ছা থাকে, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু বিদ্যাশিক্ষায় নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা, পরিবেশ সচেতনতা ও নাগরিক দায়িত্ববোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই বৃক্ষরোপণ শুধু গাছ লাগানো নয়, বরং একটি নতুন যুগের সূচনা—সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলার।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন