এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিনের সংক্ষিপ্ত সফর: মেহেন্দিগঞ্জের মানুষের পাশে মানবিক নেতার একদিন
মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি:-
১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার: বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনের বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজকর্মী এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন আজ মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় একদিনের সংক্ষিপ্ত সফরে নানা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সফরের পুরো সময়জুড়েই ছিল সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো, দুর্ভোগ শোনা, সহানুভূতি প্রকাশ এবং বিভিন্ন সমস্যা সরেজমিনে পরিদর্শন করার নিখাদ মানবিক প্রয়াস।
মাঝির হাট থেকে সফরের সূচনা:-
সকাল ৯টায় মাঝির হাটে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নিয়ে তিনি চানপুর ইউনিয়নের কৃষকদল নেতা জাফর তালুকদারের বাড়ি পরিদর্শন করেন। রাজনৈতিকভাবে নিঃস্বার্থ ও নিষ্ঠাবান এই নেতার সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডে ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সরজমিনে গিয়ে এম হেলাল উদ্দিন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন ও মানসিক সহায়তা প্রদান করেন।
প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে মতবিনিময়:-
সকাল ১০টায় মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা সদরে আয়োজিত এক ব্যতিক্রমী মতবিনিময় সভা ও চা চক্রে অংশ নেন তিনি। সেখানে উপজেলার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলেন, তাদের চাহিদা ও সমস্যা শোনেন। তিনি বলেন,
“সমাজের এই অংশকে পিছিয়ে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাদের অধিকার আদায়ে সকলে মিলে কাজ করতে হবে।”
নদীভাঙন এলাকা ও মাদ্রাসা পরিদর্শন:-
দুপুর ১২টায় তিনি যান চরএককরিয়া ইউনিয়নের দাদপুর নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শনে। স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসে দীর্ঘদিনের নদীভাঙনের করুণ বাস্তবতা, জমি হারানো মানুষের আর্তনাদ এবং পুনর্বাসনের অভাব। এ সময় তিনি বলেন,
“এই নদীভাঙনের বিপর্যয় থামাতে হলে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমি বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনার চেষ্টা করবো।”
এরপর তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সাখাওয়াত মেম্বারের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন এবং দুপুরে চরএককরিয়ার একটি জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় ও দোয়া-মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে পবিত্র জুমার দিনের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং দুপুরের খাবারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে একত্রে অংশগ্রহণ করেন, যা উপস্থিতদের মধ্যে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে।
চর শিবুলির চরে রিমোট এলাকায় বিকালের কর্মসূচি:-
সফরের শেষ পর্যায়ে বিকাল ৪টায় তিনি যান জাংগালিয়া ইউনিয়নের চর শিবুলির চরে, যা মেহেন্দিগঞ্জের এক রিমোট ও অবহেলিত অঞ্চল। এখানে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন, স্থানীয় মসজিদ পরিদর্শন করেন এবং আসরের নামাজ আদায় করেন।
চরের মানুষদের অনেকেই বলেন, এই প্রথম এমনভাবে কোনো নেতা তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এডভোকেট হেলাল উদ্দিন তাদের আশ্বস্ত করে বলেন,
“আপনাদের এই কষ্ট আমি অনুভব করতে পারি। চেষ্টা করবো যেন এই এলাকার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়।”
মানবিক রাজনীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত:-
সফরের প্রতিটি জায়গায়ই তিনি ছিলেন আত্মনিবেদিত, সাধারণের জন্য সহজগম্য এবং সত্যিকার অর্থেই মানবিক। দলীয় রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে একজন সমাজসেবী হিসেবে মানুষের মনের কথা শুনে, পাশে দাঁড়িয়ে এবং ভবিষ্যতের আশ্বাস দিয়ে তিনি প্রমাণ করেন—রাজনীতি মানে ক্ষমতার খেলা নয়, এটি মানুষের কল্যাণের সবচেয়ে বড় মাধ্যম।
প্রসঙ্গত, এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন বরিশাল-৪ আসনের একজন জনপ্রিয় মুখ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আইনি পেশার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তার কর্মসূচি একদিকে যেমন মানবিক, তেমনি রাজনৈতিকভাবে দায়বদ্ধ ও সামাজিকভাবে সৃষ্টিশীল।
এই সফর ছিল তার মানবিক রাজনৈতিক দর্শনের একটি জীবনঘনিষ্ঠ উদাহরণ—যেখানে মানুষের দুঃখ-কষ্টই একজন নেতার মূল দায়িত্ব হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন