সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 



দুর্গাপুর উপজেলা'য় শার্টের পকেটে লুকানো-১৬০ পিস ইয়াবা,র‌্যাবের জালে মাদক ব্যবসায়ী



স্টাফ রিপোর্টার-



রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার  হাট কানপাড়া বটতলা দিনে  এটি একটি সাধারণ বাজার, যেখানে হালকা আলো, চায়ের দোকানের  ধোঁয়া আর মানুষের আনাগোনা  ছাড়া আলাদা কিছু নেই। কিন্তু ঠিক মধ্যরাতে সেই নিরিবিলি বাজারটাই যেন  হয়ে ওঠে উত্তেজনা আর আতঙ্কের এক অচেনা  মঞ্চ।

২৮ জুলাই ২০২৫, রাত ১২টা ১০ মিনিট। চারপাশে  নীরবতা, মাঝে মাঝে ভেসে আসছে কুকুরের ঘেউ ঘেউ। আর ঠিক  তখনই অন্ধকারে আলো ফেলে  ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় র‌্যাব-৫, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা  জানত—সেখানে লুকিয়ে আছে এক  চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, যার শরীরের কোথাও লুকানো আছে অবৈধ  ইয়াবার চালান।অবশেষে হাতেনাতে ধরা পড়ে মো. সোহেল  রানা (৪৫)। নিজের পরিহিত  শার্টের বুক পকেটেই সে লুকিয়ে রেখেছিল ১৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। তার বাড়ি  দুর্গাপুর উপজেলার বখতিয়ারপুর গ্রামে, পিতা মৃত মেছের সরকার। আরও  উদ্ধার করা হয় একটি মোবাইল  ফোন ও দুটি সিমকার্ড।কিন্তু এই ঘটনার পেছনে আছে আরও গভীর গল্প। সোহেল রানা শুধু এক  রাতের জন্য নয়—দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা  সংগ্রহ করে রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের  কাছে বিক্রি করত। হয়তো তার কাছে এটা ছিল পেশা, সমাজের  চোখে তা অপরাধ।

র‌্যাব জানায়, আটক  ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা  দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এমন  ঘটনার পর প্রশ্ন থেকেই যায়—মাদক  আসে কোথা থেকে? কে বা কারা আছে এই চক্রের মূল হোতা  হিসেবে?হাটকানপাড়া বটতলার রাতের সেই  অভিযান যেন কেবল একজনের গ্রেপ্তার নয়, বরং আমাদের সমাজের  অন্ধকার প্রান্তে লুকিয়ে থাকা ভয়াবহ বাস্তবতার একটা ক্ষুদ্র  ছবি। সেই অন্ধকার  থেকে আলোয় ফেরানোর লড়াই শুধু র‌্যাব বা পুলিশের নয়—আমাদের  সবার।

Post a Comment

أحدث أقدم