সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 



মেলান্দহে অসহায় নারী রাশেদার ক্রয়কৃত জমি বেদখল করে স্কুল নির্মাণ করার অভিযোগ সামিউল হক মাস্টারের বিরুদ্ধে 


জামালপুর প্রতিনিধিঃ 

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চরপলিশা পূর্ব পাড়া নলেরচর গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর স্ত্রী 

মোছাঃ রাশেদা বেগমের ক্রয়কৃত জমি বেদখল করে স্কুল প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মৃত তোজাম্মেল হকের ছেলে সামিউল হক মাস্টারের বিরুদ্ধে। 

জানা যায়,১১/০৬/২০১৫ সালে একই গ্রামের মৃত করিমুজ্জামান সরকারের ছেলে মোঃ গুলজার হোসেন সরকারের কাছ থেকে ১৪ শতাংশ জমির 

দুই ভাগের এক ভাগ ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন অসহায় নারী রাশেদা বেগম। যাহার মৌজা চরবানি পাকুরিয়া জেএল নং ৮১, খতিয়ান বিআরএস ১৯৪৭, পর্চার সাবেক ৯৮৪/৯৮২, বিআরএস নং২৫৭২ ও ২৫৭৩। কিন্তু জমি ক্রয় করার পর থেকেই  প্রভাবশালী সামিউল হক মাস্টার অসহায় নারী রাশেদা বেগমের জমিটি দখল করার পাঁয়তারা করতে আসছে এবং নানা সময় নানা ধরনের  হুমকি ধামকি প্রদান করতে থাকেন। সামিউল হক মাস্টার প্রভাবশালী হওয়ায় তার দাপট ও তার ক্ষমতার সাথে টিকে থাকতে পারেনি অসহায় রাশেদা বেগম, প্রভাবশালী সামিউল হক মাস্টার তার প্রভাব ও ক্ষমতা দিয়ে অসহায় নারী রাশেদার জমি বেদখল করে বেসরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে ফেলে।


স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই ক্রয়কৃত জমিতে চাষাবাদ করে সংসারের খরচ বহন করতেন ভুক্তভোগী রাশেদা বেগম। প্রভাবশালী সামিউল হক মাস্টার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর  মাধ্যমে জমি বেদখল হওয়ার ফলে  চাষাবাদ না করতে পেরে বর্তমানে সন্তানাদি নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন  করছে অসহায় নারী রাশেদা বেগম।


সামিউল হক মাস্টার বর্তমানে রোকনুজ্জামানের দায়ের করা মামলায় জেল হাজতে আছেন। কিন্তু তিনি জেল হাজতে থাকলেও তার প্রভাব বিস্তার করে আসছে তার (শালা) ও তার শশুর বাড়ীর লোকজন। জেল থেকে বের হয়ে সামিউল হক আরোও বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে বলে ভুক্তভোগীর ধারণা।যা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা।


জানা যায়,সামিউল হক মাস্টার জেলে যাওয়ার দুই দিন পরেই পূর্বের শত্রুতার জের ধরে হারুন অর রশিদের ছেলে মুক্তাকিনের উপর হামলা ও মারধর করেন সামিউল হকের সন্ত্রাসী বাহিনী।যা নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক  সৃষ্টি হয়েছে।


স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনা নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের ঘটনায় আমাদের এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী।”


এ বিষয়ে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্তকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন