বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ, অন্ধকারে রংপুর বিভাগ
মো:মেহেদী হাসান ফুয়াদ
দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার (২১ জুলাই ২০২৫) সকাল থেকেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যার পরে ১ নম্বর ইউনিট বন্ধ হলে পুরোপুরি বন্ধ হয় উৎপাদন। ফলে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলা বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ৬টার দিকে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিন নম্বর ইউনিটটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। তারপর থেকে বিশেষজ্ঞ দল ইউনিটটির মেরামতের জন্য দিনব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে ইউনিটটি মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে।
সূত্রটি জানায়, বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ আছে। বর্তমানে চালু ছিল ১ ও ৩ নম্বর ইউনিট। তারমধ্যে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিট সোমবার সকালে ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ১নম্বর ইউনিটটি চালু থাকলেও সন্ধ্যায় তা বন্ধ হয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলীকে আবু বক্কর সিদ্দিককে একাধিকবার ফোন করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ফুলবাড়ী আবাসিক প্রকৌশলী (নেসকো) মো.দেলোয়ার হোসেন জানান, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ট্রিপ করার সাথে সাথে রংপুর বিভগের সকল গ্রিড ট্রিপ করে যায়। বর্তমানে ফুলবাড়ী দপ্তরের ৩৩ কেভি চালু রয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় লোড বরাদ্দ কম থাকায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
এদিকে নর্দান ইলেকট্রিসিটি (নেসকো) রংপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী (অপারেশন) আশরাফুল আলম মন্ডল জানান, জাতীয় গ্রীড ট্রিপ করার কারণে বিদ্যুতের সমস্যা হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন। বিদ্যুতের কী পরিমাণ ঘাটতি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বলা কঠিন তবে কোন মতে কোথাও কোথাও শুধুমাত্র লাইন চাল রাখা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন