সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ



 রাজশাহী বাঘায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একযোগ ৪ বাড়িতে ডাকাতি


মোঃ রবিউল ইসলাম বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি


রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চলের কালিদাস খালী এলাকায় অস্ত্রের  মুখে জিম্মি করে একরাতে চার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে


শুক্রবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টা থেকে তিনটার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডাকাতরা প্রায় দশ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনার  চারদিন আগে ওই এলাকার দুটি বাজারে পাঁচটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছিল।


স্থানীয় লোকজন ও ভুক্তভোগীরা জানান, ২০ থেকে ২৫ জনের মুখোশ পরা এবং অস্ত্রধারী ডাকাতদল প্রথমে গ্রামের লতিফ মোল্লার বাড়িতে ঢুকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা, আট আনি স্বর্ণের একটি আংটি, একটি জোড়া কানের দুল, ১০ আনি স্বর্ণের একটি চেইন এবং দুটি মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। এরপর তারা ইউনুস ব্যাপারীর বাড়ি থেকে নগদ  ৮ হাজার টাকা, আট আনি স্বর্ণের একটি চেইন, রুপার নুপুর ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এর আগে ইদ্রিস ব্যাপারীর বাড়ি থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন, দুটি রুপার বালা, একটি জোড়া নুপুর এবং তিনটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।


সবশেষ ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ  পাঁচ লাখ টাকা, দুই ভরির দুটি স্বর্ণের চেইন, চার আনি ওজনের দুটি স্বর্ণের আংটি, এক ভরির একটি কানের দুল ও একটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। এরপর ডাকাতদল বাড়িগুলোর আসবাবপত্র তছনছ করে পালিয়ে যায়।


ভুক্তভোগী লতিফ মোল্লা বলেন, ডাকাতরা ঈঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে এসেছিল। চারটি বাড়ি একে একে লুট করে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেছে। চরের মানুষের একেকটা পরিবার একেকটা উঁচু ভিটায় বসবাস করে। এলাকায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে মসজিদের মাইকে মানুষ জড়ো করা হয় কিন্তু গভীর রাত হওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। 


চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আলম বলেন, গত এক মাসে এলাকায় প্রায় ১০টি চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে মানুষ চরম আতঙ্কে আছে। গত পাঁচ দিন আগে ১৫ জুলাই রাতে পদ্মার চরাঞ্চলের পলাশী ফতেপুর ও নতুন বাজারে একই রাতে পাঁচটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল চুরি গেছে। কিন্তু পুলিশ এখনো জড়িতদের আটক করতে পারেনি।


বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমি ও সার্কেল এসপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। একইসঙ্গে চুরির ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

Post a Comment

أحدث أقدم