সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 



শান্তিপুর নদীতে বালু উত্তোলনের সময় নৌকাসহ ৮ শ্রমিক আটক

স্টাফ রিপোর্টার 


 সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটার শাখা  মাহারাম ও শান্তিপুর নদী থেকে অবৈধভাবে খনিজ বালু লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় বালু বোঝাই দুটি  নৌকাসহ আট বালু শ্রমিককে আটক করেছে থানা পুলিশ।

‎আজ ২৫ জুন বুধবার দুপুরে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের শান্তিপুর নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হাফিজ উদ্দিন।

‎আটককৃতরা হলো, উত্তর বড়দল ইউনিয়নের খাসতাল গ্রামের  মৃত ইসমাঈল মিয়ার ছেলে মজিবুর রহমান (২৬), একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে আকরাম(২৫), আব্দুস সালামের ছেলে জসিম মিয়া (২০), আব্দুল করিমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৫), আলা উদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া (২০), ইসমাঈলের ছেলে পাবেল মিয়া (১৯) এবং একই ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে সাইদুল্লাহ(২০) এবং একই গ্রামের দ্বীন ইসলামের ছেলে শাহনুর(২৩)।

‎পুলিশ জানায়, শান্তিপুর নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞ অমান্য করে একটি বালু খেকো সিন্ডিকেট চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বিক্রি করছে । এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সকাল থেকেই শান্তিপুর নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেনের দিকনির্দেশনায় বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হাফিজসহ সঙ্গীও পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায় শান্তিপুর নদীতে। এ সময় দুটি বালু বোঝাই নৌকাসহ আটজন বালু শ্রমিককে আটক করে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক চতুরভুজ গ্রামেরসুরুজ আলীর ছেলে আশিকুল ইসলাম আশিক(৩৫), উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক একই গ্রামের রমজান আলীর সুজন মিয়া(৪২), উত্তর বড়দল ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়ার ছোট ভাই একই ইউনিয়নের মৎস্য লীগের সভাপতি মাসুক সরদার, একই ইউনিয়নের রামেরশ্বরপুর গ্রামের আলীনুর সরদার ও বালিয়াঘাট গ্রামের এরশাদ সরদার ও উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য পুরানঘাট গ্রামের আবু তাহের মেম্বার ও একই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক শান্তিপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিগত ৫ আগষ্টের পর থেকে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শান্তিপুর নদীতে অবৈধভাবে উত্তোলন ও বিক্রি করছে। যার ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। গত প্রায় ১১ মাসে এই বালু খেকো সিন্ডিকেট চক্রটি শান্তিপুর নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা। প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে দু-চারটি নৌকা ও সাধারণ বালু শ্রমিকদের আটকে মামলা ও জেল-জরিমানা করলেও অধরাই থেকে যায় মূল গডফাদাররা।

‎আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হাফিজ উদ্দিন বলেন, বালু বোঝাই দুটি নৌকাসহ আটককৃতদের তাহিরপুর থানায় নিয়া আসা হয়েছে।  এবং আটককৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন