তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে মিথ্যা অপবাদে আমাকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে অভিযোগ বাবর মেম্বারের,
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক বাবর আলী মেম্বার অভিযোগ করে বলেন, তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে আমাকে মিথ্যা অপবাদে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। ২৯শে মে লক্ষিপুর গ্রামের দিনমজুর এরশাদ সরকারের মেয়ে সিমা খাতুনের সমস্যা হলে মেয়ের মা আমাকে খবর দিয়ে ডেকে নিয়ে এই সমস্যার কথা জানায়, তখন আমি তাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনসম্মুখে প্রকাশ্য দিবালোকে তাদের পাশে দাড়িয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে সহযোগিতা করি। তিনি আরও বলেন, মেয়েটা প্রতিবন্ধী, বাড়ির পাশের একটা প্রতিষ্ঠানে ভূয়া হিসেবে ভাত রান্না করে। সেখানে হয়তো কিছু হতে পারে। আর আমি যদি অপরাধী হতাম তাহলে তার গর্ভপাতের কাজে সাথে থাকতাম না, আমার সাদা মনে কাদা নেই তাই সরল মনে তার কাজে সাহায্য করেছি। পরে জানতে পারি গ্রামের কিছু সুবিধাবাধি কুচক্রী মহলের পরামর্শে আমাকেই দোষারোপ করা হচ্ছে। আমি ২বার জনগণের ভোটের মাধ্যমে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছি,৪ বার জিএস, কে, এল গভর্নিংবডির সদস্য নির্বাচিত হয়েছি,১ বার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ছিলাম ও ১বার সভাপতি ছিলাম আগামীতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য মাঠে জনগনের পাশে দাড়িয়ে সার্বিক সেবা প্রদান করছি, তাই আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে এই নাটকীয় ভঙ্গিতে ফাঁসিয়ে আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন করে মাঠ দখলের পায়তারা করছে। এ ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এবিষয়ে সিমা খাতুনের মা জানান, আমার মেয়ে প্রতিবন্ধী, গর্ভবতী কিভাকে কাকে দিয়ে হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে একএক সময় একএক জনের নাম বলে, তাই আমরা কাকে দোষারোপ করবো, কাউকে দোষারোপ করে হয়তো মামলা করলাম পরে যদি কোর্টে গিয়ে অন্য জনের নাম বলে তাহলে তো আমরাই বিপদে পরবো, যেহেতু আমরা কাউকে কিছু করতে দেখিনি, তাই আমরা মামলাও করিনি, বাবর মেম্বারের বিষয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছিল সেটা বিবেক বিবেচনা করে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আমরা মিমাংসা করে মিটিয়ে নিয়েছি। তার প্রতি আমাদের কোন অভিযোগ নেই।
গ্রামবাসী শরিফুল ইসলাম জানান, মেয়েটার সাথে একটা ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু কে করেছে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যেহেতু মেয়েটা প্রতিবন্ধী তার সাথে কেউ না কেউ দুর্বলতার সুযোগে এই কাজ করেছে, কিন্তু মেয়েটার এলোমেলো কথার কারনে কাউকে দোষি সাবস্ত করা যায়নাই। আর এ কারনে তারা কোন থানায় অভিযোগও করেনি। তবে মেম্বারের বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তার উপযুক্ত প্রমান না থাকায় গ্রামবাসী এটা মিমাংসা করে দিয়েছে।
এবিষয়ে বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ জাকেরিয়া হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এরকম একটা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল, মেয়েটির পরিবারকে বলা হয়েছে আপনার মেয়ের সাথে কেউ অমানবিক কাজ করছে বা যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে থানায় এসে অভিযোগ দিতে পারেন, কিন্তু কোন অভিযোগ আমরা পাইনি, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন