সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 



হাবিপ্রবিতে কৃষকদের জন্য পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত


মো:মেহেদী হাসান ফুয়াদ   

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : 


হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) কৃষক সেবাকেন্দ্রের আয়োজনে কৃষকদের জন্য দুই দিনব্যাপী “পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থাপনা” বিষয়ক  প্রশিক্ষণ কর্মশালার  উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫) সকাল সাড়ে ৯ টায় এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের ল্যাব রুমে  প্রধান অতিথি হিসেবে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন হাবিপ্রবির  ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষক সেবাকেন্দ্র’র পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক হাসান ও সঞ্চালনা করেন এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের লেকচারার সুস্মিতা শারমিন।

অনুষ্ঠানে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ফসল উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব সার ও কীটনাশক ব্যবহারের উপর জোর অকিথিবৃন্দ। অনেক সময় অধিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে সাময়িক উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও দীর্ঘমেয়াদে মাটির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থাপনায় মাটির গুণগত মান ও খাদ্যের পুষ্টিগুণ রক্ষা করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিপ্রবির  ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা উপস্থিত কৃষকগণের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা যে যতো বড় চাকুরী করিনা কেন, দিনের শেষে তিন বেলা খেতেই হয়। এই খাবারের উৎপাদক আপনারাই, আমরা সকলেই এক্ষেত্রে আপনাদের উপর নির্ভরশীল। আমরা জানি বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, তাই কৃষির উৎপাদন ভালো হলে আমরা ভালো থাকবো, আর কৃষির উৎপাদন ভালো না হলে আমরা ভালো থাকতে পারবো না। আপনারা অনেকেই জানেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, তখন কৃষি জমির পরিমাণ যা ছিল বর্তমানে আরও কমেছে, জনসংখ্যাও ছিল মাত্র ৭ কোটি, কিন্তু তখন খাদ্য সংকট ছিল। অথচ বর্তমানে জনসংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে, কৃষি জমির পরিমাণ কমে গেছে, তারপরও আলহামদুলিল্লাহ্ এখন আগের মতো আর খাদ্য সংকট নেই। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে কৃষিবিদ ও কৃষকদের নিরলস পরিশ্রমের কারণে। তিনি বলেন, এই এলাকার জনগনের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে। এ ধরণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তি আপনাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। তিনি আরও বলেন, আপনারাই দেশের মূল চালিকাশক্তি ও হৃদপিন্ড। আপনারা যে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন সেটার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। কৃষি সম্পর্কিত যেকোন পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে আমরা নিয়োজিত আছি। 

কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য উপস্থিত কৃষকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৪০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন