সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 



৫ আগস্ট ২৪ দাউদকান্দিতে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলি, পিস্তলধারী সামি এখনো প্রকাশ্যে  


নিজস্ব প্রতিবেদক   


 দাউদকান্দি, কুমিল্লা ● ২৪ জুলাই


৫ আগস্ট ২৪, কুমিল্লার দাউদকান্দিতে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা' আয়োজিত এক শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। 


 ৫ আগস্ট ২৪, দাউদকান্দি বিশ্বরোড সংলগ্ন মোল্লা কমিনিটি সেন্টারের কাছে সংঘটিত এই হামলায় কয়েকজন আহত হন।


 প্রত্যক্ষ দর্শীদের মতে, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিত এ হামলা ও গুলি চালায় নিরীহ, নিরস্ত্র, ছাত্র জনতার উপর 


ভিডিও ফুটেজ ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, পিস্তল হাতে গুলি চালায় এক যুবক—যার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার নাম সামি, পিতা: জাকির হোসেন ভূঁইয়া, মাতা: শাহনাজ সুমনা, গ্রাম: সুন্দরপুর পূর্বপাড়া, ভূঁইয়া বাড়ি, দাউদকান্দি, কুমিল্লা।


সামির আরও কিছু অবস্থান স্থল

(১) তালতুলি, দাউদকান্দি

(২) পৌরসভার পেছনে আক্কাস মিয়ার বাড়ির পাশে তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলা

(৩) নুরপুর মীরবাড়ি

(৪) গয়েশপুর, দাউদকান্দি

🔸 সে একেক সময় একেক স্থানে অবস্থান করে।


স্থানীয়ভাবে সে ‘কিশোর গ্যাং’-এর সদস্য এবং স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সাবেক মেয়র সেন এর হাতে গরা আওয়ামি সন্ত্রাস বাহিনী। ও নুরপুর মীর বাড়ির সাবেক আঃ হক কমিশনারের মেয়ে মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সুমনার পুত্র, হিসেবে পরিচিত। 


ছাত্র জনতার উপর গুলির সময় সাংবাদিক সালমা আক্তার তার মুবাইল ভিডিও ধারণ করলে তাকেও ধাওয়া করা হয়। তিনি প্রাণে বাঁচলেও পরে ফোনে হত্যার হুমকি পান।


সাংবাদিক সালমা তার মোবাইল ফোনে গুলি করার ভিডিও ধারন করার কারনে, এ ভিডিও ফুটেজকে কেন্দ্র করে, সাংবাদিক সালমা চার চার বার সন্ত্রাসী সামি তার মা সুমনা ও তাদের কিশোর গ্যাং এর হাতে হামলা শিকার হন। সন্ত্রাসী সামি ও তার মা সুমনা ও তাদের কিশোর গ্যাং সাংবাদিক সালমাকে রাস্তায় আটকিয়ে তার দুইটা মোবাইল ফোন ও তার সাথে থাকা বেনিটি বেগ থেকে ৯০ হাজার টাকা ও তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা সালমাকে অমানবিক নির্যাতন করে, সন্ত্রাসী সামি তার কিশোর গ্যাং নিয়ে সালমার বাসায় লুটপাট সহ ভাংচুর চালায়। 


এ ঘটনায় দাউদকান্দি থানায় সন্তাসী সামির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। দাউদকান্দি থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা কে গুলি করার ভিডিও ফুটেজ ও কুমিল্লা আদালতের ওয়ারেন্ট থাকা সত্ত্বেও এখনো গ্রেফতার করা হয়নি এ সামি (২২) কে। বরং অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্ত সামি (২২) বর্তমানে বিএনপি নেতাদের প্রটোকলে রয়েছে—যা জনমনে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।


জনপ্রশ্ন—


🔹 সামি কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে?

🔹 সাংবাদিকের নিরাপত্তা কোথায়?

🔹 প্রশাসন নীরব কেন?


দ্রুত পিস্তল দাড়ি সামি কে গ্রেফতার করে আইনের শাসন কার্যকর ও সাংবাদিক সুরক্ষা এবং জন নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত আইনের পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন