অন্যের জমি দান করে নিজেকে দাতা পরিচয় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানান রণধীর পাল বেনু
স্টাফ রিপোর্টার
অন্যের জমি দান করে নিজেকে দাতা পরিচয় শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার তেলিগাঁও গ্রামের বিশিষ্ট কয়লা ব্যবসায়ী রণধীর পাল বেনু।
বুধবার(২৫জুন)বিকাল ৫টায় উপজেলা শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তেলিগাঁও গ্রামে উনার নিজ বাড়িতে এক ভিডিও বার্তায় এ প্রতিবাদ জানান তিনি।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন আমি রণধীর পাল বেনু তেলিগাঁও শ্মশান ঘাটে/র মন্দিরের দাতা,আমার নিজ গ্রামের প্রতিপক্ষ বিবেক পাল,সামাজিক ভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য গত ১৯মে ২০২৫ ইং তারিখে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যদিয়ে,অন্যের জমি দান করে নিজেকে দাতা পরিচয় শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ করায় উক্ত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন বিগত অনুমান ১৯৬৫ ইং খ্রীস্টাব্দে এস-এ ১৮১ দাগে তেলিগাঁও মৌজার ১৮জন মালিক একত্রিত হইয়া তেলিগাঁও গ্রামের গীতেন্দ্র পালের দাদার স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য জায়গাটি দান করে দেওয়া হয়,কিন্তু পরবর্তীতে জায়গাটি শ্মশান ঘাট নামকরণ করা হলে,সরকারি অনুদানে বালু পাথর দিয়ে ভিটা করে ১টি টিন সেট ঘর নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০০৭-২০০৮ ইং খ্রীস্টাব্দে আমি তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও'র)লিখিত অনুমতি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে উক্ত শ্মশান ঘাটের অবকাঠামো উন্নয়নে নিজ অর্থে টিন সেট ঘরটি দালান করন ও মৃত দেহের সৎকার করার জন্য একটি চুলা তৈরি করে দেই।উনি বলেন ২০২২-২৩ খ্রীস্টাব্দে আমাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খসরুল আলম মৃত দেহের সৎকার কাজে আসা ব্যাক্তিদের সূপেয় জলের ব্যবস্থা করতে একটি টিউবওয়েল অনুদান করেন।টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য অর্ধেক পাইব বোরিং করার পর বিবেক পাল তাহার দলসহ সকলকে নিয়ে ঠিকাদারসহ অন্যান্যদেরকে মারধর করে পাইপ উঠাইয়া দেয়। যাহা আমি চেয়ারম্যান ও গণমাণ্য লোকদেরকে অবগত করি।উনি বলেন এরপর ২০০৪সনে তেলীগাও মৌজায় আর এস রেকর্ড শুরু হয়। তখন বিবেক পাল মন্দির ও স্মৃতি সৌধ থাকা সত্বেও, মন্দিরের জায়গায়সহ এক প্লাট করে। তাঁহার অংশে ৬৩ শতক রেকর্ডের মালিক হয়েও
৮১শতক রেকর্ড করে নেয়। যাহা মৃত দেহ সৎকার করার কাজে ব্যবহৃত একটি শ্মশানের সাথে প্রতারণা।পরবর্তীতে সে ৮১শতক জায়গা থেকে মিথ্যা দাতা সেজে ৮শতক মন্দিরের নামে দলিল করে দেয়,যাহা অত্র এলাকার সর্বসাধারণ অবগত নয়। আমি ও অত্র এলাকার সর্বসাধারণ তাহার এমন আচরণে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করি। তাহার এহেন কার্যকলাপের জন্য,এলাকার লোকজন বিভিন্ন শালিসি বৈঠক বা আলোচনা সভায় তাহাকে ডাকলে সে উপস্থিত হয় না। সে নোংরা প্রকৃতির লোকবটে, যার জন্য সে অন্যের মান হানি করতে দ্বিধা বোধ করে না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন