বোচাগঞ্জে দশহাজার টাকার জন্য ঘনিষ্ট বন্ধুকে হত্যা
মো:মেহেদী হাসান ফুয়াদ
দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
দিনাজপুরে মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে হত্যা করেছে। এমনই স্বীকারোক্তি দিয়েছে বন্ধু সাধন চন্দ্র রায় (২৫) কে হত্যাকারী মনোজিৎ রায় (২৫) ওরফে মম। তারা একে অপরের ঘনিষ্ট বন্ধু।
আজ শনিবার (২৮ জুন) আসামীর স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে নিহত সাধন চন্দ্র রায়ের ব্যবহৃত সকাল ১১টায় বোচাগঞ্জ উপজেলার ঈশানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এরআগে ঘটনার চারদিন পর শুক্রবার (২৭ জুন) মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও থেকে হত্যাকারী মনোজিৎ রায় গ্রেফতার করে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মারুফাত হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত সাধন চন্দ্র রায় ও অভিযুক্ত মনোজিৎ রায় ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গত ৩ মে মনোজিৎ সাধনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নেন। কথা ছিল একম মাসপর ৩ জুন অতিরিক্তি ১হাজার টাকাসহ ৪ হাজার টাকা পরিশোধ করবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে টাকা ফেরত দেয়নি মনোজিৎ। পরে বিষয়টি সাধনের পরিবারে মাঝে জানাজানি হয়।
পরে সাধনের মা ছেলেদের টাকা ধার দেয় নেয়ার বিষয়টি মনোজিতের মাকে জানায়। টাকা ধার নেয়ায় মনোজিৎ রায়কে তার মা বকাঝকা করেন। এ নিযে মনোজিৎ রায়ং ক্ষিপ্ত হয়ে গত সোমবার (২৩ জুন) রাতে সাধনকে ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মনোজিৎ রায় পাশে পড়ে থাকা বাসের লাঠি দিয়ে সাধন চন্দ্র রায়ের মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনা স্থলেই সাধন চন্দ্র রায় মারা যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনা চাপা দেয়ার জন্য সাধন চন্দ্র রায়ের মরদেহ ও তার মোটরসাইকেলটি পুকুরে ফেলে দেয়। এই ঘটনা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন মনোজিৎ।
বোচাগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মারুফাত হোসেন বলেন, অপরাধ করে কেউ দিনাজপুরে পার পাবে না। আমরা প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্য কাজে লাগিয়ে দ্রæত অপরাধীদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সিফাত-ই-রাব্বানী, কাহারোল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান এবং বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান জাহিদ সরকার ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন