সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 



বেলকুচিতে কমিটির কাউকে না জানিয়ে অর্থের বিনিময়ে কমিটি জালিয়াতির অভিযোগ, 


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : 

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বেলকুচি শাখার রানিং ১৩ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি থাকা সত্যেও অর্থের বিনিময়ে আহবায়ক কমিটির কাউকে না জানিয়ে উক্ত আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক কেরামত আলী নামধারী কিছু ভূয়া সাংবাদিক ও কিছু এনায়েতপুরের ভূয়া নাম বসিয়ে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সিরাজগঞ্জ জেলা সভাপতি মোঃ হাসান ইমাম কে দিয়ে ভূয়া কমিটি করার অভিযোগ উঠেছে। 


সরকার অনুমোদিত সংগঠন গভ: রেজিষ্ট্রেশন ৯৮৭৩৬/১২, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বেলকুচি শাখার আহবায়ক সাংবাদিক মোঃ রেজাউল করিম জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকা ও সিএনএন বাংলা টেলিভিশন এর সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ২৮.৫.২০২২ ইং তারিখে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কেন্দ্রীয় সভাপতি সাংবাদিক ফরিদ খাঁনের স্বাক্ষরিত অনুমোদনে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বেলকুচি শাখার আহবায়ক কমিটি চিঠির মাধ্যমে আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। তারপর তিনি ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ইতিমধ্যে আহবায়ক কমিটির সকল সদস্যর উপস্থিতিতে আলোচনা সাপেক্ষে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্নাঙ্গ কমিটির খসড়া তৈরী করা হয়েছে।  আর সেই কমিটির নিয়মনীতি সাংগঠনিক কার্যক্রম ভঙ্গ করে আহবায়ক কমিটির  কাউকে না জানিয়ে নামধারী সাংবাদিক এর নাম বসিয়ে কেরামত আলী প্রেসক্লাবের সভাপতি হওয়ার নেশায় অর্থের বিনিময়ে জেলা সভাপতিকে ম্যানেজ করে কমিটি করেছে, এতে আহবায়ক কমিটির মূলধারার সাংবাদিকদের মানহানি ও তাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কমিটিতে নাম ব্যবহার করা অনেকই সাংবাদিক নয়, এদের মধ্যে অনেকে জানেওনা তাদের নাম বসিয়ে কমিটি করা হয়েছে, এটা ফেসবুকে প্রকাশ হওয়ার পর কমিটির দপ্তর সম্পাদক ইয়াহিয়া ফেসবুকে পদত্যাগ ঘোষনা করেছে, কার্যকরী সদস্য ইলিয়াস হোসাইন বলেন আমি এই কমিটির বিষয়ে কিছু জানিনা ফেসবুক থেকে আমার ছবি নিয়ে কমিটিতে নাম বসিয়েছে আমার অনুমতি ছাড়া আমার ছবি ব্যবহার করে এই ভূয়া কমিটি করায় তীব্র নিন্দা জানাই, কার্যকরী সদস্য সুৃমন প্রামানিক ও তামজিদ হোসেন তারা দুজন ঢাকায় ছিল কমিটির বিষয়ে কিছু জানেনা, তামজিদ হোসেন আরও বলেন, জেলা সভাপতি হাসান ইমাম আমাকে একটি কার্ড করে সদস্য বানিয়ে দিছে, আমি কোনদিন সাংবাদিকতা করিনি, কিছু বুঝিও না নিউজ করা শিখতে হবে, তবে আপনাদের যে আহবায়ক কমিটি আছে সে বিষয়ে আমাকে কিছু বলেনি, তবে আপনাদের না জানিয়ে কমিটি করা তাদের ভূল হয়েছে, এমনকি এই কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে এ্যাডভোকেট রাজিব হোসেন এর  নাম দেওয়া হয়েছে, রাজিব হোসেন এর নিকট কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কেরামত তালুকদার আমাকে ফোন দিয়ে বলে আজকে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব এর কমিটি হবে তুমি চলে আসো, আমি জানি এই কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক সাংবাদিক রেজাউল করিম সভাপতি সেই হবে, এই হিসেবে আমি এসেছি, কিন্তু সিরাজগঞ্জ অফিসে যাইয়া দেখি আহবায়ক রেজাউল করিম সহ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বেলকুচি শাখার কাউকে দেখতেছি না তখনি বুঝতে পেরেছি এখানে একটা দুর্নীতি হচ্ছে, আরও একটি কথা যেখানে রেজাউল সাংবাদিক কে বাদ দিয়ে কেরামত আলী অশিক্ষিত যার নিউজ লেখার কোন ক্ষমতা নেই, আমি একজন শিক্ষিত আইনজীবী হয়ে তার কমিটিতে থাকি কি করে, এই ভূয়া সাংবাদিকদের ভূয়া কমিটিতে থাকার প্রশ্নই আসেনা, এটা জানার পর আমি জেলা কমিটির অফিসে গিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি, সেই সাথে প্রতারণা করে কমিটি করায় কেরামত আলীর ঠিক হয়নি, এই ভূয়া কমিটিকে তীব্র নিন্দা জানাই।

উল্লেখ যে, আহবায়ক কমিটি হওয়ার পর জানা যায় কেরামত আলী একজন ভূয়া সাংবাদিক, নিউজ লেখার অক্ষরজ্ঞান তার মধ্যে নেই, এমনকি শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কোন সার্টিফিকেটও নেই, তদন্ত করে ৫ম শ্রেণিরও কোন সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি কেরামত আলীর,  আর এরকম একটা ভূয়া সাংবাদিক প্রেসক্লাবের সভাপতি হয় কি করে, এটা এক ধরনের হাস্যকর ও প্রতারণার শামিল। এরকম একটা অযোগ্য ভূয়া সাংবাদিক কিভাবে প্রতারণা করে সভাপতি হয় আর জেলা সভাপতি কিভাবে সেই কমিটিতে স্বাক্ষর দেয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই বাছাই না করে একটা ভূয়া কমিটিকে অনুমোদন দেওয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উপজেলার সকল সাংবাদিক ও সচেতন মহল। আহবায়ক কমিটির কাউকে না জানিয়ে তাদের বাদ দিয়ে কমিটি করায় ভূয়া সাংবাদিক ও ভূয়া কমিটির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা ও আইনীব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়। 

এবিষয়ে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক ফরিদ খাঁন কে অবগত করলে তিনি জানান, যেহেতু বেলকুচিতে একটা আহবায়ক কমিটি আছে তাই সেখানে কমিটি দিতে হলে আহবায়কের মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ কমিটি দিতে হবে, আহবায়ক কমিটির সকল সদস্যর উপস্থিতিতে আহবায়ক কমিটি ভেঙে না দিয়ে বা আহবায়ক কমিটির কাউকে না জানিয়ে নতুন কমিটি দিলে সেই কমিটি সাংগঠনিক ভাবে বৈধ কমিটি হবেনা, তাই সাংগঠনিক নিয়ম নীতিমালা অনুসরণ করেই কমিটি করতে হবে, সাংগঠনিক নিয়ম মেনে কমিটি না দিলে কমিটির মধ্যে কোন দুর্নীতির অভিযোগ পেলে সেই কমিটি বহিষ্কার করা হবে।  আরও একটি কথা বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বেলকুচি শাখার আহবায়ক সাংবাদিক রেজাউল করিম একজন সাহসী সুদক্ষ লেখনী কলামিস্ট পত্রিকা সহ টিভি চ্যানের সাংবাদিক  আমি তার সব নিউজ ফেসবুকে দেখি এজন্য আমি তার সব সময় প্রসংশা করি যে বেলকুচির আহবায়ক সাংবাদিক রেজাউল করিম একজন সচেতন ও কমিটির যোগ্য সাংবাদিক, তিনি আরও বলেন সিরাজগঞ্জ জেলায় কোন কমিটি ছিল না, সর্ব প্রথম রেজাউল করিম বেলকুচি উপজেলায়  আহবায়ক হিসেবে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব গঠন করেছে আর তার অনুরোধ ও প্রস্তাবনায় সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে হাসান ইমামকে চিঠি দেওয়া হয়, তাই সিরাজগঞ্জে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবে রেজাউল করিমের অবধান অপরিসীম। তাই আমি জেলা সভাপতিকে আদেশ জারি করে ভূয়া কমিটির অভিযুক্ত নামধারী সাংবাদিক এর নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে বেলকুচি শাখার আহবায়ক  সাংবাদিক রেজাউল করিমের মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ  কমিটি দেওয়ার আহবান জানাবো।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন