তাহিরপুর ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এক যুবককে কুপিয়ে জখম
আহম্মদ কবির,তাহিরপুরঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পুর্ব শত্রুতার জেরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ।বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত যুবক তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে মস্তফা(৩৪)।এ ঘটনায় আহত মস্তফার চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ৩জনের নাম উল্লেখ করে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একই গ্রামের মর্তুজা হোসেনের ছেলে একরাম হোসেন(৪৫)একরাম হোসেন এর ছেলে আকাশ(২৩)সম্রাট (২০)।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অত্যন্ত উগ্র,উচ্ছৃঙ্খল একদলভুক্ত ও আইন অমান্যকারী হীন প্রকৃতির লোক।সামাজিক ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়া আহত মোস্তফা ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে চরম শত্রুতা করে আসছে,এরই প্রেক্ষিতে ঘটনার দিনল্লল্লল বিকালে কামালপুর গ্রামের পূর্ব দিকে ফুটবল খেলা চলছিল, জখমী মোস্তফা খেলা দেখতে খেলার মাঠে গিয়েছিল।খেলা চলাকালীন সময়ে জখমী মোস্তফা ও অভিযুক্ত আকাশ কথা কাটাকাটি ও তর্কবিতর্ক হয় এর একপর্যায়ে অভিযুক্তরা একত্র হয়ে কিল ঘুষি মারিতে থাকিলে খেলোয়াড় ও অন্যান্য লোকজনের সহযোগিতায় রক্ষা পায়।পরবর্তীতে1 খেলা শেষে বুধবার সন্ধ্যায় একরাম হোসেনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র রামদা ও কাঠের রুইল নিয়া জখমি মোস্তফার বসত বাড়িতে প্রবেশ করিয়া তাহাকে অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।এসময় মোস্তফা তার ঘরের বারান্দায় দাঁড়াইয়া প্রতিবাদ করিলে,অভিযুক্ত একরাম হোসেন নির্দেশ দিয়া বলে শালার পুতরে খুন করে ফেল।এমন নির্দেশনা পেয়েই একরাম হোসেনের ছেলে আকাশ তার হাতে থাকা রামদা দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে জখমি মোস্তফার মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ মারিলে ডান হাত দিয়া প্রতিহত করতে চাইলে তাহার ডান হাতের কব্জিতে পড়িয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটাইয়া পড়িলে অভিযুক্ত সম্রাট তাহার হাতে থাকা কাঠের রুইল দিয়া এলোপাতাড়ি মারপিট করে জখমি মোস্তফার বুকে পিঠে ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।এসময় জখমির শোর চিৎকার শুনিয়া আশেপাশে থাকা লোকজন আগাইয়া গিয়ে বাধা-নিষেধ করিলে অভিযুক্তরা ভবিষ্যতে সুযোগমত পাইলে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে চলে গেলে জখমি মোস্তফা প্রাণে রক্ষা পায়।এসময় জখমি মোস্তফা কে উদ্ধার করিয়া তাহিরপুর থানা পুলিশ কে অবগত করিয়া চিকিৎসার জন্য তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।বর্তমানে জখমি মোস্তফা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আহম্মদ কবির
মোবাইল ০১৭২৫৭২৪৬০০
إرسال تعليق