কজেল ছাত্রকে মারধর,পুঠিয়া থানায় অভিযোগ -
পুঠিয়া'য় কলেজ ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ-
স্টাফ রিপোর্টার-
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ধোকড়াকুল ডিগ্রি কলেজের (বিএম) শাখার দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র সাব্বির নামের এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সাব্বির (২৩) ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।
মারধরের বিষয়ে ভুক্তভোগী সাব্বির বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় দুই জন'কে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, ধোকরাকুল এলাকার আয়নালের ছেলে অপু (২৫) ও একই এলাকার সান্টুর ছেলে সিয়াম(২৪)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভুক্তভোগের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। ভুক্তভোগী কলেজে যাওয়া ও আসার পথে অপু ও সিয়াম বিভিন্ন সময় গালিগালাজসহ ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত (০৮ মে) সকাল ১১টার সময় অপু ও সিয়ামসহ অজ্ঞাতনামা ২জন ধোকড়াকুল কলেজের ভিতরে এসে সাব্বির'কে গালিগালাজ করতে থাকে। ভুক্তভোগী তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে অপুর হুকুমে সিয়াম জিআই পাইপ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে সাব্বির মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে উক্ত আঘাতে ভুক্তভোগীর মাথার পিছনে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। অপু লোহার পাইপ দিয়ে ভুক্তভোগী সাব্বিরকে এলোপাথাড়ী মারপিট কোরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলাফুলা ও কালশিরা জখম করে। অজ্ঞাতনামা ২ জন তাকে চরথাপ্পর ও কিলঘুষি মেরে মুখমন্ডলে কালশিরা জখম করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাব্বির বলেন, অপু ও সিয়াম এখনো আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে। ঘটনার দিন স্থানীয় জনগণ আমাকে উদ্ধার করে ভ্যানে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। আমি তাদের বিচার দাবি করছি।
তবে এসব বিষয়ে অভিযুক্ত অপু ও সিয়াম এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ধোকড়াকুল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আহসান-উল্লাহ বলেন, আমি অফিসেই ছিলাম, চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখি সাব্বির'কে মেরে অপু ও সিয়াম রক্তাক্ত করে দিয়েছে। সুনলাম সাব্বিরের মাথায় সাতটি সেলাই লেগেছে। যেহেতু এটি কলেজে বিষয় তাই আমি কলেজে নিরসনের চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
إرسال تعليق