ভারতের নিষেধাজ্ঞায় অর্ধেকে নেমেছে আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য।
এসএম নাইমুল ইসলাম জিহাদ
স্টাফ রিপোর্টার
ভারত সরকারের নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি অর্ধেকে নেমে এসেছে। দ্বিতীয় দিনের মতো রপ্তানি কার্যক্রমে বড় ধরনের ধস নেমেছে। হিমায়িত মাছ, ভোজ্যতেল ও পাটের তৈরি রশি ছাড়া অন্য কোনো পণ্য রপ্তানি হয়নি।
আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ভারতের ‘সেভেন সিস্টারস’ খ্যাত রাজ্যগুলোতে ১২ ধরনের পণ্য রপ্তানি হতো। এর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, শুঁটকি, ভোজ্যতেল, তোলা বর্জ্য, প্লাস্টিক পণ্য, পিভিসি সামগ্রী, প্রক্রিয়াজাত খাবার ইত্যাদি।
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া অধিকাংশ পণ্যই এ বন্দর দিয়ে রপ্তানি হতো। এতে প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে।
ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান বলেন, “নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ছয়টি পণ্যের মধ্যে চারটিই আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি হতো। গার্মেন্টস ও ফার্নিচার বাদে বাকি পণ্য এই বন্দরেই গুরুত্ব রাখে। এখন বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছি।”
আরেক ব্যবসায়ী রাজিব ভূঁইয়া বলেন, “নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রতিদিন ৩০-৪০ লাখ টাকার রপ্তানি আয় কমে যাচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান কামনা করছি।”
এব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, “নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে রপ্তানি কার্যক্রম অর্ধেকে নেমে এসেছে। আজ (রোববার) নিষিদ্ধ পণ্যগুলোর কোনো চালান বন্দরে আসেনি।”
বন্দর সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪২৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি হয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে এ আয় দাঁড়িয়েছে ৪৫৩ কোটি টাকা।
এর আগে শনিবার (১৭ মে) ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুধুমাত্র নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে তৈরি পোশাক রপ্তানি করা যাবে। পাশাপাশি ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামে স্থল কাস্টমস স্টেশন বা আইসিপির মাধ্যমে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত এবং আসবাবপত্র আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞা পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশনেও প্রযোজ্য হবে বলেও জানা যায়।
إرسال تعليق