বিদেশ পাঠানোর কথা বলে কোটি টাকা আত্মসা
(মোঃ রিফাত আলী জামালপুর প্রতিনিধি)
জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নে ঝাওলা গোপালপুর গ্রামে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে
একই গ্রামের আজহার আলী (রাজ) নামে ইতালি প্রবাসী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় এলাকায় একাধিকবার গ্রাম্য সালিস ও আদালতে মামলা দিয়েও কোনো সুরাহা হয় নি বলে জানান স্থানীয়রা।
রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে বাঁশচড়া ইউনিয়নের ঝাওলা গ্রামের ভুক্তভোগীরা এই প্রতারণার বিষয়গুলো জানান সাংবাদিকদের।
স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের ঝাওলা গ্রামের মৃত জামাল হোসেনের ছেলে আজহার আলী দীর্ঘদিন ধরে ইতালি অবস্থান করছেন। ঝাওলা গ্রামের রাজ মাহমুদের ছেলে রুবলকে ইতালি নেওয়ার কথা বলে ৩৭ লাখ নগদ টাকা নেন এবং পার্শ্ববর্তী বৈঠামারী গ্রামের শাহ আলমের ছেলে নূর মোহাম্মদ এর কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা নেন। এছাড়াও ঝাওলা গ্রামের বিল্লাল হোসেন এর ছেলে শফিককে ইতালি নেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৭ লাখ, ঝিগারতলা গ্রামের মোশাররফ এর কাছ থেকে ১১ লাখ ও কোটের টির্কি গ্রামের বাবুল এর কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নেন। এই ভাবে বাঁশচড়া ইউনিয়নের প্রায় ৩০-৩৫ জনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এতগুলো মানুষের কাউকেই বিদেশ না নিয়ে এই টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছেন আজহার আলী।
স্থানীয় রাজ মাহমুদ বলেন, এই আজহার আলী একজন প্রতারক। সে দীর্ঘদিন ইউরোপের ইতালি দেশে থাকতো। সেখান থেকে সে বাংলাদেশে এসে আমাদের ঝাওলা গ্রামের সহজ সরল তরুণদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সে বিদেশ পালিয়ে চলে গেছে। এখন আমাদের কারো সাথে কোন যোগাযোগ করে না।
একই গ্রামের মোঃ রুবেল বলেন, আমাদের লাখ লাখ টাকা ইতালি নেওয়ার কথা বলে আজহার নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছে। আমি আমার কৃষি জমি ও ট্রাক গাড়ি বিক্রি করে টাকাগুলো দিয়েছিলাম। আমাকে সর্বসান্ত করে দিয়েছে এই আজহার। আমি এখন পথের ফকির হয়েগেছি। এখন তার পরিবারে কাছে টাকা চাইতে হলে তার পরিবারের উল্টা হুমকি ধামকি দেয়।
ভুক্তভোগী নূর মোহাম্মদ বলেন, আমাকে ইতালি নিবে বলে আমার বাড়িঘর ও কৃষি জমি বিক্রি করিয়ে আমার কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। এখন টাকাও ফেরত দেয় না বিদেশে নেয় না দুই বছর হয়ে গেলো। এই টাকার চিন্তায় আমি দুইবার স্টক করেছি।
অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগের বিষয়ে একাধিকবার ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি আজহার আলীকে। এবং তার গ্রামের বাড়িতে গিয়েও পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুবেল ও আশিক আহমেদ সহ একাধিক ব্যক্তি বাদী হয়ে জামালপুর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা গুলো বিচারাদিন রয়েছে। মামলাগুলো সঠিক তদন্ত করে দ্রুত বিচার কার্য পরিচালনা করার আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন