সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান পালিত।


নিজস্ব প্রতিবেদনঃ

১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে "ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন" (আই ডি এফ) এনজিও - এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ১৬ আগস্ট ২০২৩, বিকাল ৩.০০টায় গোপালপাড়া অবস্থিত কেন্দ্রীয় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন "ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন" (আই ডি এফ) এর আইডিএফ ও কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ ।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন "ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন" ( আই ডি এফ) রাজশাহী জুনের জেনারেল ম্যানেজার বিজন কুমার সরকার, রাজশাহী জুনের এরিয়া ম্যানেজার নুর আলী সিদ্দিক, জেনারেল সহকারি ম্যানেজার জনাব আসাদুল হক , শাখা ব্যবস্থাপ শুভাশিস কুমার, কৃষি কর্মকর্তা খালেদ হোসেন, গোপালপাড়া কেন্দ্রের কর্মকর্তা মোঃ রাজিব আহমেদ। 

সভার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।


সভায় বক্তারা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি। তাঁর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আমরা তাঁকে গভীরভাবে স্মরণ করছি, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি এবং তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’


বক্তারা বলেন, ‘বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা। আর এ গৌরব অর্জনের মহানায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং এদেশের মানুষের মুক্তিই তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য ও আদর্শ। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নেই তিনি আজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন, জীবনের একটা বড় সময় জেলে কাটিয়েছেন। কিন্তু তিনি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি।’


বক্তারা আরও বলেন, ‘৭৫ এর ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করা হয়। খুনিরা ভেবেছিল, এর মাধ্যমে ইতিহাস থেকে তাঁর নাম মুছে যাবে। কিন্তু ইতিহাস চলে তার নিজস্ব পথে। নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি আজও মহানায়ক, তিনি বাঙালি জাতির স্বপ্নের দিশারী। তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণ এখনো দেশের আপামর মানুষকে উদ্দীপিত করে এবং অন্যায় ও বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে সাহস যোগায়।’


বক্তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে আদর্শ ধারণা করেছিলেন, যে আদর্শের জন্য জীবন দিয়েছেন তা ছিল একটি শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা। আমরা যদি সেই আদর্শ ধারণ করি এবং তা বাস্তবায়ন করতে পারি তবেই তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে।

আলোচনা সভার সবার শেষে কেন্দ্রের সকল সদস্যদের দুইটি করে গাছের চারা প্রদান করা হয় এবং "ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন" রাজশাহী জুনের জেনারেল ম্যানেজার বিকাশ কুমার সরকার গাছ লাগিয়ে সবার সমাপনী ঘোষণা করেন। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন