সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ

 


রাজশাহী, প্রতিনিধি

রাজশাহীর পুঠিয়ায়  সুব্রত ঘোষ  নামে এক যুবক  প্রতারণা করে  মুসলিম যুবতি মেয়েকে  বিয়ে করার অভিযোগ  উঠেছে।আবার  বিয়ের কয়েকদিন  না যেতেই  সে হটাৎ পালিয়ে  আত্নগোপনে চলে  যায়। এদিকে স্বামীর  খোজে ওই মেয়ে  আসেন সুব্রত  ঘোষের বাড়ি। এসে জানতে  পারেন সে হিস্দু।  পরে ওই  মেয়ে নিজেকে  সুব্রত ঘোষের  স্ত্রী দাবী করলে  ওই পরিবারের লোকজন  তাকে মারধর  ও অপহরণ  করার চেষ্টা করে।  এ ঘটনায় ওই  মেয়ে থানা পুলিশের  আশ্রয়  নিয়েছেন।  ঘটনাটি  ঘটেছে গত  ৩০ জুলাই সন্ধ্যার  দিকে উপজেলার  রামজীবনপুর গ্রামে।  অভিযুক্ত সুব্রত  ঘোষ ওই এলাকার  সুবল  ঘোষের ছেলে।  অপরদিকে প্রতারণার  শিকার যুবতির  নাম সাথী খাতুন  (২৪)। তিনি  নওগাঁ জেলার  আত্রাই উপজেলার  রানীনগর  গ্রামের মোজাম্মেল  হোসেনের মেয়ে।  ভুক্তভোগি সাথী  খাতুন বলেন,  তারা দুজনেই ঢাকায়  একটি কোম্পানিতে  চাকুরি করতো।  সে সুবাদে প্রায়  এক বছর  আগে তাদের মধ্যে  পরিচয় হয়।  সুব্রত ঘোষ নিজেকে  মুসলিম পরিচয় দিত।  এদিকে কাজের সূত্রে  দুজনের মধ্যে প্রেমের  সর্ম্পক গড়ে উঠে।  গত দুই মাস  আগে ঢাকায় একটি  কাজী অফিসে  তাদের বিয়ে  হয়। আর বিয়ের  এক মাস না যেতেই  সুব্রত ঘোষ  আত্নগোপনে চলে  যায়। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে  তার বাড়ির  ঠিকানা  সংগ্রহ করে  রোববার সন্ধ্যা  পুঠিয়ায় সুব্রতর বাড়ীতে  চলে আসে।  ভুক্তভোগি বলেন, এখানে  আসার পর  জানা যায় সে  হিন্দু। এ সময় তার  বাড়ির তাকে  লোকজন প্রথমে মারধর  করে তাড়িয়ে  দেয়। এরপর গ্রামবাসীর  কাছে প্রতারণার  বিচার চাইতে গেলে  সুব্রত ঘোষের  স্বজনরা তাকে অপহরণ  করার চেষ্টা  করে। বিষয়টি  তিনি টের পেয়ে থানা  পুলিশের আশ্রয়  নেয়। এদিকে  সুব্রত ঘোষ পলাতক  থাকায় এ বিষয়ে তার  সাথে যোগাযোগ  করা যায়নি।তবে এলাকাবাসীর  বলেন, গতকাল রোববার  সন্ধ্যায় সুব্রত  ঘোষ এর খোজে একটি  মুসলিম মেয়ে  আমাদের এখানে এসেছিল।  পরে তাকে  না পেয়ে  মেয়েটি ফিরে গেছে।  তবে মেয়েটি  এখন কোথায় আছে  তার জানা  নেই।  এ বিষয়ে  পুঠিয়া থানার পুলিশ  পরিদর্শক (তদন্ত)  রফিকুল ইসলাম  বিষয়টি নিশ্চিত  করে বলেন, প্রতারণার শিকার  হয়ে ৩০ জুলাই  রাতে এক যুবতি  মেয়ে থানায় আশ্রয়  নিয়েছেন। আজ সোমবার  দুপুরে তিনি সুব্রত  ঘোষ নামের  এক যুবকের  বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ  দিয়েছে। আমরা  ওই মেয়ের পরিবারের  সাথে যোগাযোগের  চেস্টা করছি। পরিবরের  কেও এলে  তাদের জিম্মায়  মেয়েটিকে দেয়া  হবে। আর অভিযোগ  তদন্তপূর্বক অভিযুক্তের  বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা  গ্রহণ করা  হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন