সন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ


 



মো: জাহাঙ্গীর আলম 

স্টাফ রিপোর্টার




রাজশাহীর  দুর্গাপুরে যৌতুকের দাবিতে  এক  গৃহবধূকে নির্যাতনের  অভিযোগ পাওয়া গেছে।  ভিকটিম গ্রহবধূর  বাবা আব্দুর  রাজ্জাক এই  অভিযোগ করেন।  প্রতিকার  চেয়ে উপজেলা  নির্বাহী  অফিসারের কাছে  লিখিত  অভিযোগ করেছেন আব্দুর  রাজ্জাক। জানা গেছে, গত  প্রায় ৮ মাস আগে  পৌর এলাকার  শ্রীপুর গ্রামের  আলহাজ্ব  আব্দুর রাজ্জাকের  মেয়েকে উপজেলার কুহাড়  গ্রামের মৃত  জনাব মন্ডলের  ছেলে রায়হানুল  আলম  রাজনের সাথে  বিয়ে দেয়।  বিয়ের পর  থেকেই বনিবনা হচ্ছিলনা  রাজন- বিথী দম্পতির। অভিযোগ সূত্রে  জানা গেছে,  বিয়ের সময়  স্ত্রী  বিথীকে ২ লাখ  টাকার স্বর্ণের  গহনা দেয় রাজন।  কিন্তু  নানা সময় ওই  স্বর্ণালঙ্কার গুলো  ফিরিয়ে নেয়ার  জন্য  শারীরিক ও মানসিকভাবে  নির্যাতন করা হতো  বিথীকে। গত ১০  জুন স্বর্ণালংকার  গুলো কেড়ে  নিয়ে বাড়ি থেকে  বের করে  দেওয়া হয় গৃহবধু  বিথীকে। এমনকি তার  কাছে থাকা  নগদ ১০ হাজার  টাকাও কেড়ে  নেয় রাজন  ও তার পরিবারের লোকজন।  এমনকি হাতে  থাকা মোবাইল  ফোনটি কেড়ে  নিয়ে ভেঙে  ফেলা হয়।  এক প্রতিবেশীর  কাছ থেকে মোবাইল  ফোন চেয়ে  নিয়ে বিথী  বিষয়টি মোবাইল  ফোনে তার  বাবা আব্দুর  রাজ্জাককে জানায়। বিষয়টি  আব্দুর রাজ্জাক  থানা পুলিশকে অবহিত  করে এবং  স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরকে  সহায়তায় মেয়েকে  উদ্ধার করে  চিকিৎসার জন্য  উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে  ভর্তি করেন। আব্দুর  রাজ্জাক মেয়ের  বিয়ের সময়  এক লাখ  ৯২ হাজার টাকা  দামের একটি মোটরসাইকেল  উপহার দিয়েছিলেন  জামাই রাজনকে। যার  কাগজপত্র  আব্দুর রাজ্জাকের  নামেই আছে। সেটিও  নিজের নামে  লিখে নিতে চাপ  দিচ্ছিলেন  রাজন।

 আব্দুর রাজ্জাক  অভিযোগ করেন, উপহার  দেয়া মোটরসাইকেলের  কাগজপত্র নিজের  নামে লিখে  নিতে এবং আরো  যৌতুকের জন্য  তার মেয়েকে  প্রায় সময়  শারীরিক মানসিকভাবে  নির্যাতন করতেন তার  জামাই রাজন ও  তার পরিবারের লোকজন। এ ব্যাপারে  প্রতিকার চেয়ে  তিনি গত  ১৪ জুন উপজেলা  নির্বাহী অফিসারের  কাছে লিখিত অভিযোগ  করেছেন।  সুষ্ঠু বিচারের  দাবিতে প্রয়োজনে তিনি  আদালতের  শরণাপন্ন হবেন বলে  জানান।

Post a Comment

أحدث أقدم