মোঃ মিঠু আহম্মেদ, পুঠিয়া (রাজশাহী) নিজস্ব প্রতিবেদন:
রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা ভাল্লুকগাছী ইউনিয়নের হাড়োগাথী গ্রামের অন্তরা (১১) নামের এক ষষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অন্তরা বাবার নাম মৃত জেকের মোল্লা, মাতা লাইলি বেগম।
ধর্ষণকারী গ্রাম্য ডাক্তার আব্দুল খালেক (৪৫) একই গ্রামের মৃত বদরুজ্জামান এর ছেলে।
ঘটনাটি গত (৯জুন) সকাল ১০ থেকে ১১:০০ টার মধ্যে হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। এ সময় তার পরিবারকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে তাদের মেয়েকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য বলা হয়েছে। এ সময় মেয়ের দাদি বলে ডাক্তার খালেক আমার কাছে আসে এবং আমাকে ৫০ হাজার টাকা লোভ দেখায় এবং ঘটনাটি কাউকে না জন্য সে বিষয়ে সতর্ক করে।
ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী মেয়ের দুই বান্ধবী আফরোজা এবং সাদিয়া বলে প্রতিদিনের মতো আমরা ডাক্তার খালেকের বাসায় যায়ই এবং সে আমাদের গেম খেলার জন্য মোবাইল দেয় একপর্যায়ে আমার বান্ধবী অন্তরাকে পাশের রুমে ডেকে নে এবং সে ধর্ষণ করে। অনেক সময় পর বান্ধবী না আসায় আমরা পাশের রুমে যাই এবং দেখি ঘটনাটি সত্য। এসময় ডাক্তার খালেক আমাদেরকে কিছু টাকা দেয় এবং ঘটনাটি যাতে কাউকে না বলি সে বিষয়ে বলে।
প্রায় ১১ দিন পর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়ের বড় বোন মেয়েটিকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে মেয়েটির সততা স্বীকার করে।
গত (১৮জুন) রাত ৯ টা বিষয়টি জানাজানি হলো স্থায়ী লোকজন ৯৯৯ কল দেয়। পুলিশ এসে ঘটনাটি তদন্ত আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় খালেক।
এ গুরুতোর অসুস্থ হওয়ায় আজ (১৯ জুন) সকালে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার জন্য নেওয়া হয়। ভুক্তভোগীর মা এবং মামা বলে আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
إرسال تعليق